ফাইল চিত্র
করোনার জেরে ১৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত শুটিং বন্ধ বাংলা টেলিপাড়ায়। প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, টেকনিশিয়ান সকলেই বিপাকে। কারণ শুটিং বন্ধ মানে বিশাল অঙ্কের ক্ষয়ক্ষতি। তবে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন টেকনিশিয়ানরা। কারণ তাঁরা দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাজ করেন। একটা দিন শুটিং বন্ধ মানেই তাঁদের রুজি-রোজগারে টান। পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার তরফে সিদ্ধার্থ রায় কপূর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ানদের জন্য একটি তহবিল গড়ে তোলা হবে। যেখানে ইন্ডাস্ট্রির সব স্তরের মানুষকেই অর্থসাহায্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। টলিউড এই বিষয়ে কি এখনও শুধু ভাবনাচিন্তা করছে? না কোনও পদক্ষেপ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে?
করোনার জেরে প্রায় অবরুদ্ধ বিনোদন দুনিয়া। মঙ্গলবার নন্দনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকের সময়েই দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে কাজ করা টেকনিশিয়ানদের প্রাপ্য পাওয়ার বিষয়টি উঠেছিল। স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিভিন্ন চ্যানেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা নিজ নিজ সংস্থায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছেন।’’ একই মত আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়েরও, ‘‘ভাবনাচিন্তা চলছে। বৈঠকের দিনই এ নিয়ে একপ্রস্ত কথা হয়েছিল। আশা করছি, সেই টেকনিশিয়ানদের একটা শিফটের টাকা চ্যানেল দেবে।’’
চিত্রনাট্যকার ও একাধিক ধারাবাহিকের প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘প্রযোজকদের উপরেও অনেক চাপ। ফ্লোরে শুটিং হচ্ছে না। কিন্তু ফ্লোরের ভাড়া দিতে হবে প্রযোজককে। এ ছাড়া ব্রডকাস্টার, সাপ্লায়ার... যার সঙ্গে যা চুক্তি রয়েছে, সবটা মেটাতে হবে প্রযোজককে। তাই ক্ষতি যে শুধু টেকনিশিয়ানদের হয়েছে, সেটা কিন্তু নয়। তবে এটা ঠিক, ওদের রোজগার অনেকটাই কম। তাই আমার মতে, ফেডারেশন, শিল্পী, প্রোডিউসার সকলে একসঙ্গে এগিয়ে এলে ওদের জন্য কিছু করা সম্ভব হবে।’’
চ্যানেলের দায়িত্বভার নেওয়ার আগে টেকনিশিয়ানদের নাম ও তাঁদের প্রাপ্য টাকার হিসেব জানাতে হবে ফেডারেশনকে। একটি নামী চ্যানেলের ক্লাস্টার হেড (পূর্ব) সম্রাট ঘোষের কথায়, ‘‘যদি এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে কোনও টেকনিশিয়ানের খাওয়ার টাকা নেই, তবে চ্যানেল নিশ্চয়ই তাঁর পাশে দাঁড়াবে। আমাদের একটা সামাজিক দায়িত্ব আছে।’’
অনিবার্য কারণবশত শুটিং বন্ধ হয়েছে। তাই খেটে খাওয়া টেকনিশিয়ানরা তাঁদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেই আশাবাদী টেলি ইন্ডাস্ট্রি।