আউটব্রেক
হলিউডের ভাবনাচিন্তার দৌড় যে কত দূর যেতে পারে, তা বোধহয় আমজনতা এখন বুঝতে পারছেন। ভাইরাস অ্যাটাক নিয়ে গুচ্ছের ছবি হয়েছে হলিউডে। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের বাজারে সেই ছবি দেখার প্রবণতা নাকি আচমকাই বেড়ে গিয়েছে। সিনেমা হল বন্ধ প্রায় গোটা দেশজুড়েই। তাই অনলাইন স্ট্রিমিং-সহ অন্যান্য মাধ্যমে এই জাতীয় ছবিগুলি দেখার হিড়িক পড়েছে। নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এর মধ্যে ডাস্টিন হফম্যান অভিনীত ‘আউটব্রেক’ এবং ম্যাট ডেমন-গোয়েনেথ প্যালট্রো, মারিয়ঁ কোতিয়রের ‘কন্টাজিয়ন’ নাকি সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দর্শক দেখেছেন।
দু’টি ছবিই সারভাইভাল জ়ঁরের। ভাইরাস অ্যাটাকের ফলে কী পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং সেখান থেকে বেরোনোর পন্থা নিয়েই মূলত ছবিগুলি। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত স্টিভেন সডারবার্গের ‘কন্টাজিয়ন’ ছবিটি ব্যবসায়িক দিক থেকেও সফল। ছবিটি এই মুহূর্তে দর্শকের কাছে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ সম্ভবত, এর সঙ্গে করোনাভাইরাস-কাণ্ডের বেশ কিছু সাদৃশ্য রয়েছে। চিনের ম্যাকাওয়ের এক রেস্তরাঁর শেফ সংক্রামিত শূকরের মাংস ছোঁয়ার পরে হাত না ধুয়েই গোয়েনেথ প্যালট্রোর চরিত্রের সঙ্গে হাত মেলায়। আমেরিকা ফিরে এসেই অজানা রোগে আক্রান্ত হয় গোয়েনেথের চরিত্রটি। সে মারাও যায়। কিন্তু তার সঙ্গে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে ও মহামারির আকার নেয়। সডারবার্গ এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য না করলেও, ছবির চিত্রনাট্যকার স্কট জ়ি মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে, ‘‘সাধারণ মানুষ কী ভাবে নিজেদের নিরাপদে রাখবেন, তা নিয়ে সরকারি তরফে কোনও বার্তা নেই দেখে অবাক লাগছে!’’
১৯৯৫ সালে উলফগ্যাং পিটারসন পরিচালিত ‘আউটব্রেক’ মেডিক্যাল ডিজ়াস্টার মুভি। ছবিটি ‘দ্য হট জ়োন’ উপন্যাসের আধারে তৈরি। আফ্রিকা থেকে এক অজানা জ্বরের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
‘ওয়র্ল্ড ওয়র জ়ি’, ‘আই অ্যাম লেজেন্ড’, ‘দ্য ফ্লু’, ‘প্যানডেমিক’-সহ হলিউডের অজস্র ছবিতে ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। দুনিয়া জুড়ে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় সেই ছবিগুলিই হঠাৎ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে এখন। হয়তো সে কারণেই সাধারণ মানুষের মধ্যে সেগুলি দেখার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।