কমেডিয়ান ভারতী সিংহ
মা বাড়ি বাড়ি রান্না করে যা রোজগার করতেন, তা দিয়েই সংসার চলত ভারতী সিংহদের। কমেডিয়ানের ২ বছর বয়সেই তাঁর বাবা মারা যান। তার পর থেকে চূ়ড়ান্ত আর্থিক অনটনে দিন কেটেছে তাঁদের। পরিচারিকার কাজ করার সঙ্গে কম্বল আর ঠাকুরের ওড়না বুনতেন ভারতীর মা। সেই আওয়াজ আজও কানে ভাসে তাঁর। ২১ বছর ধরে সেই আওয়াজ শুনেছেন তিনি। আজ সেই আওয়াজে ভয় করে ভারতীর। কঠিন দিনগুলির কথা মনে করলেন ভারতী। আর এক কমেডিয়ান মনিশ পলের চ্যাট শো-তে অতীতের পাতা ওল্টালেন তিনি।
জাতীয় স্তরের রাইফেল শুটার ছিলেন ভারতী। পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। খেলার সূত্রেই কলেজে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতী। কলেজের হোস্টেল থেকে বাড়ি আসতে ইচ্ছা করত না ভারতীর। কারণ সেখানে দু’বেলা ভরপেট খেতে পেতেন। বাড়ি ফিরলেই পেট ভরত না। বাড়িতে এতই কম আলো ছিল যে পড়াশোনা করতেও কষ্ট হত।
ভারতী বললেন, ‘‘লাল চা বানিয়ে তাতে রুটি ডুবিয়ে খেতাম অথবা নুন দিয়ে রুটি চিবিয়ে খেতাম। আর এখন আমরা রুটির সঙ্গে ডাল আর তরকারি খেতে পাই। এটাই আমার কাছে অনেক।’’ বেশি কিছু চান না ভারতী। কিন্তু তাঁর একটাই ভয়, সেই দিনগুলিতে ফিরে যেতে না হয় যেন। তাঁর পরিবারকে রুটির সঙ্গে ডাল খাওয়ানোর সামর্থ্য যেন থাকে তাঁর, এই একটিই আশা করেন ভারতী।