‘সিটিজেন্স রেসপন্স’ নিয়ে অনুপম রায়ের কথা
তন্ময় ঘোষ, অনুপম রায়, পিয়া চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সহ এক ঝাঁক তারকা একজোট হয়েছেন ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’-এ। ‘হেডস’ স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার সঙ্গে মিলিত ভাবে তাঁরা ওষুধ, অক্সিজেন সহ করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস এত দিন পৌঁছে দিচ্ছিলেন সাধ্যমতো। যেখানে হাসপাতালে শয্যা না পাওয়া পর্যন্ত অক্সিজেন, শয্যা, ওষুধ সহ পাওয়া যাচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। শনিবার ৮ মে থেকে চালু হয়েছে এই সেন্টার।
কী ভাবে জন্ম এই সংগঠনের? জানতে আনন্দবাজার ডিজিটাল যোগাযোগ করেছিল অনুপম রায়ের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, তন্ময় ঘোষ তাঁর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ বছরের সিনিয়র। তাঁর সংগঠন ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ আমফান থেকে শুরু করে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে জনসাধারণের। এই মঞ্চে যখন অনুপম, পরমব্রত জানান তাঁরা অতিমারির মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তখনই অভূতপূর্ব সাড়া পান। ‘‘আমরা কাজ করতে চাই শুনে প্রচুর মানুষ অর্থ সাহায্য করেছেন। তাঁদের টাকা দিয়েই পাটুলিতে এই সেন্টার খোলা হয়েছে’’, বললেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পী। তার পরেই হেডসের সম্মিলিত চেষ্টায় তৈরি হয় ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’।
শিল্পী আরও জানালেন, যে সব করোনা আক্রান্ত খালি শয্যা পাচ্ছেন না, আবার তাঁদের বাড়িতেও রাখা যাচ্ছে না তাঁদের সাময়িক স্বস্তি দিতে এই রিলিফ সেন্টার। ১০-১২ ঘণ্টা থেকে এখানে তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পারবেন। কে, কী ভাবে, কোন কাজ করবেন তার সমস্ত দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। সবাইকে নিয়ে তিনি সংগঠন সামলাচ্ছেন সুষ্ঠুভাবে। জনসংযোগের দায়িত্বে অনুপম। তাঁর দাবি, ‘‘কাজে না নামলে কোনও কাজ শেখা যায় না। তবে এই কাজের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে অদ্ভুত আরাম হচ্ছে।’’