রাহুলের মৃত্যুতে আক্ষেপ অভিনেত্রীর গ্রাফিক- নিরুপম পাল
রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে মৃত্যু হল ইউটিউবার এবং অভিনেতা রাহুল ভোরার। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে নেটমাধ্যমে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছিলেন তিনি। পোস্টে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে উল্লেখ করেছিলেন। প্রথম পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর অবস্থা ভাল নয়। সু-চিকিৎসা পাচ্ছেন না। দ্বিতীয় পোস্টে যেন মৃত্যুকেই আলিঙ্গন করতে চাইলেন তিনি। রাহুলের মৃত্যুর পরে সেই পোস্ট দু’টি ছেয়ে যায় নেটমাধ্যমে।
টেলি অভিনেত্রী কিশ্বর মার্চেন্ট মর্মাহত হয়ে এই ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন রবিবার সন্ধ্যায়। তাঁর আক্ষেপ, এই খবর যদি সোনু সুদের কাছে যেত, পরিস্থিতি হয়তো অন্য রকম হত। লিখলেন, ‘পরিবারের সাহস এবং শক্তির জন্য প্রার্থনা করব’।
কিশ্বর মার্চেন্টের মন্তব্য
গত সপ্তাহে অভিনেতা একটি পোস্টে হাসপাতাল শয্যা এবং অক্সিজেনের জন্য কাতর আর্তি জানিয়েছিলেন। যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেখানে থেকে তাঁর শরীরে কোনও উন্নতি হচ্ছিল না। অক্সিজেনের মাত্রা ক্রমশই নীচে নামছিল। রবিবার তিনি যে পোস্টটি করেছিলেন, তাতে লেখা ছিল, ‘আমিও যদি সু-চিকিৎসা পেতাম, বেঁচে ফিরতে পারতাম’। পোস্টের শেষে যেন তিনি বিদায়বার্তা লিখে জানিয়েছিলেন, ‘খুব শীঘ্রই জন্ম নেব। অনেক ভাল ভাল কাজ করব। এখন যেন আর সাহস নেই আমার মধ্যে’। সেই পোস্টেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে উল্লেখ করেছিলেন রাহুল।
অন্য দিকে অভিনেতা সোনু সুদ কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে উদ্যোগী। অভিনেতা এবং তাঁর সহকারীরা রোগীদের জন্য হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেন, ওষুধ— সব রকমের বন্দোবস্ত করার জন্য দিন-রাত কসরত করছেন। দিন কয়েক আগে সোনু নেটমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আপনারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে প্রিয় জন চলে গিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের দোষ দেবেন না। জানবেন, আপনারা নন, আমরা ব্যর্থ হয়েছি’।