কর্ণ জোহর এবং চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায়চৌধুরী অনেক দিন ধরেই বাংলা-মুম্বইয়ের নিত্যযাত্রী। একটা সময় চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দ্বিতীয় ঘর’ ছিল মু্ম্বই। তখন তিনি মু্ম্বইয়ের ছোট পর্দার একের পর এক ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ। আরব সাগরের তীরে বাংলার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের এই নিত্য আনাগোনা নিয়ে গুঞ্জনও প্রচুর। এই মুহূর্তের জ্বলন্ত ইস্যু, বলিউড নাকি খরচ বাঁচাতে বাংলার অভিনেতাদের ডাকছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁরাও বলিউডে জনপ্রিয় হচ্ছেন। পায়ের তলার মাটি শক্ত করছেন!
যিশু ইতিমধ্যেই এই কটাক্ষে বিদ্ধ। চূর্ণি খুব শিগগির কলকাতা ছাড়ছেন কর্ণ জোহরের আগামী ছবি ‘রকি অওর রানি কি প্রেম কহানি’র শ্যুট উপলক্ষে। ছবি রয়েছেন জয়া বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, শাবানা আজমি, আলিয়া ভট্ট, রণবীর সিংহ, টোটা রায়চৌধুরী প্রমুখ। বিতর্কিত বিষয় নিয়ে কী মত অভিনেত্রীর? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ঘরনির স্পষ্ট জবাব, ‘‘আমি এখনও এই ধরনের কোনও কথা শুনিনি। কর্ণ জোহর বা তাঁর প্রযোজনা সংস্থা খরচ বাঁচাতে বাংলার অভিনেতাদের ডাকছেন বা সুযোগ দিচ্ছেন, এমন কথা যাঁরা ভাবছেন তাঁদের সত্যিই কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’’ চূর্ণীর দাবি, অর্থ খরচ নিয়ে অন্তত ধর্মা প্রোডাকশন ভাবে না। কর্ণ তাঁদেরই সুযোগ দেন, যাঁদের তিনি যোগ্য মনে করেন। অন্তত তাঁর ক্ষেত্রে এই যুক্তিই খাটে। কারণ, তিনি বাকিদের মতো ঘন ঘন মুম্বই যাতায়াত করেন না।
ধর্ম প্রোডাকশনের এই ডাকে খুশি পরিচালক স্বামী, অভিনেতা পুত্র উজান। তৃপ্ত চূর্ণী নিজেও। জানিয়েছেন, তাঁর ছোটবেলার প্রিয় অভিনেতা শাবানা আজমি আছেন এই ছবিতে। তাঁর সঙ্গে একই পর্দায় আসবেন ভেবেই উত্তেজিত তিনি। চূর্ণীকে কি ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে দেখা যাবে? সে রহস্য এখনই ফাঁস করতে রাজি নন অভিনেত্রী। জানালেন, সব সময় বিপরীতে অভিনয় করতে হবে এমন কোনও কথা নেই। হয়তো তাঁকে সমান্তরাল কোনও ভূমিকায় অভিনয় করতেও দেখা যেতে পারে। তিনি বরং এই সুযোগে দুই প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করবেন। শিখবেন সেখানকার কাজের ধারা।
কর্ণ জোহর মানেই বিতর্ক। স্বজনপোষণ, নাক উঁচু স্বভাবের জন্য প্রচণ্ড 'দুর্নাম' তাঁর। আসলে মানুষটি কেমন? চূর্ণীর কথায়, ‘‘যেমন বিদ্বান, তেমনই বুদ্ধিমান। ভীষণ ভদ্র। তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তার নিজে উত্তর দেন। ইতিমধ্যেই আমি একাধিক বার কথা বলেছি ওঁর সঙ্গে। কর্ণ মনে করেন, পরিচালকের সঙ্গে অভিনেতা কথা বলতে পারলে উভয় পক্ষেরই উপকার।’’