চারু আসোপা এবং রাজীব সেন। ছবি: সংগৃহীত।
অবশেষে তিক্ততার শিকল থেকে মুক্তি। আইনি বিচ্ছেদ হতে চলেছে সুস্মিতা সেনের ভাই রাজীব সেন এবং টেলিভিশন অভিনেত্রী চারু আসপার। গত দু’বছর ধরে দাম্পত্যকলহ চরমে উঠেছিল। মাঝে বহু বার বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চেয়েছেন দু’জনে। কিন্তু আবার তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। শেষমেশ, আগামী ৮ জুন তাঁদের পথ আলাদা হয়ে যাবে।
২০১৯ সালে বেশ ধুমধাম করেই প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর ভাইকে বিয়ে করেন চারু। সুস্মিতা সেন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেন তাঁদের। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাজীব-চারুর দাম্পত্যকলহের কথা বার বার প্রকাশ্যে আসে। ২০২১ সালে কন্যা জিয়ানার জন্ম। তার পরই যেন চরমে ওঠে তাঁদের সংঘাত। রাজীবের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন চারু। মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন। পরে কন্যার মুখ চেয়েই দু’জনে তাঁদের সম্পর্ককে আরও একটা সুযোগ দিতে চান। ফের একসঙ্গে থাকা শুরু করেন। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চারু বেরিয়ে আসেন রাজীবের সংসার ছেড়ে। কোলের মেয়েকে নিয়ে একলা মায়ের বাড়ি ভাড়া পেতে নাকি প্রায় কালঘাম ছুটে যায় চারুর। ছাদ জোটে বহু কষ্টে। গত ৬ মাস আলাদাই ছিলেন চারু-রাজীব। এ বার পাকাপাকি বিবাহবিচ্ছেদ হবে তাঁদের।
শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক— স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল চারুর। সেই কারণেই আলাদা থাকছিলেন তাঁরা। তবে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীকে একসঙ্গে দেখে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তাঁদের সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এক সাক্ষাৎকারে চারু জানান, মেয়ে জিয়ানার জন্যই রাজীবের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছিলেন তিনি। চারুর কথায়, ‘‘জিয়ানার জন্যই এত কিছু করছি, ওকে একটা সুস্থ পরিবেশে বড় করে তুলতে চেয়েছি। আমাদের মেয়ের যাতে কখনও মনে না হয়, মা-বাবা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। আমি ওর জন্য পরিস্থিতি সহজ করতে চাই।’’ কিন্তু জিয়ানা একটু বড় হতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন চারু। হয়তো আর পারা যাচ্ছিল না।