চন্দন সেন। ফাইল ছবি।
মানিকবাবু মেঘের কারবারি। তিনি মেঘের মধ্যে প্রেয়সীকে খুঁজে পেয়েছিলেন। পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোধ্যায়ের ‘মানিকবাবুর মেঘ’ ছবিতে চন্দন সেনকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছে দর্শক। খবর, বড় পর্দার সেই ‘মানিকবাবু’ নতুন রূপে ফিরছেন। তিনি এ বার নাকি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা! আনন্দবাজার অনলাইনকে এই খবর জানিয়েছেন পরিচালক মানসী সিংহ। তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘৫ নং, স্বপ্নময় লেন’-এ চন্দনকে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে।
চন্দন সেনের অভিনয় প্রতিভা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ছোট পর্দা, বড় পর্দা, সিরিজ, মঞ্চ— সর্বত্র তাঁর অনায়াস গতিবিধি। তাঁর সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি তাঁকে ফের চর্চায় এনেছে। এ কারণেই কি মানসীর পরের ছবিতে চন্দন? প্রশ্ন শুনে নব্য পরিচালকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘“চন্দনকে কি নতুন চিনি? নাকি, ওঁর অভিনয় সম্বন্ধে কোনও ধারণা নেই যে, ছবি দেখে নতুন করে ওঁকে ভাবতে হবে?” জানিয়েছেন, ছবিতে যে চরিত্রে চন্দন আসছেন, সেই চরিত্রে প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু, তাঁর আপাতত মুঠোভর্তি ছবি। মানসী এবং প্রযোজক শুভঙ্কর মিত্র এর পরেই ‘মানিকবাবু’র সঙ্গে কথা বলেন।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (বাঁ দিকে) মানসী সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: ফেসবুক
কী ধরনের চরিত্রে এ বার তাঁকে দেখা যাবে? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল চন্দনের সঙ্গেও। অভিনেতার কথায়, “এ বার আমি আইনজীবী। আমার মক্কেলকে ৫ নং, স্বপ্নময় লেনের একটি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার। চিত্রনাট্য পড়েছি। খুব মজার। সামনের মাসে শুটিং শুরু হবে।” মেঘ থেকে আইন-আদালত! বাস্তবের মাটিতে আছড়ে পড়লেন ‘মানিকবাবু’? এই প্রশ্ন শুনে দরাজ হাসলেন অভিনেতা। বললেন, “২০১৯-এ ছবি শেষ। মেঘমুলুক থেকে তখনই মাটিতে নেমে পড়েছেন মানিকবাবু। আর এর আগেও অনেক ছবিতে আইনজীবী হয়েছি। কখনও দুঁদে, তো কখনও রসিক। বলতে পারেন, সেই ধারার অভিনয় আরও এক বার ঝালিয়ে নেব।”
ফোনের ও পারে নিজের রসিকতায় নিজেই হেসে সারা চন্দন ‘মানিক’ সেন।