Padatik

পর্দার ‘মৃণাল’কে অপর্ণা সেনের স্তুতি, দুই বাংলার বর্তমান প্রেক্ষিতে কী অনুভূতি চঞ্চলের?

বাংলাদেশ উত্তপ্ত রাজনীতি, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে। কলকাতায় ঘটে যাওয়া আরজি কর-কাণ্ড দেশের লজ্জা। এমন পরিস্থিতিতে ‘পদাতিক’ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অনুভূতি ভাগ করলেন চঞ্চল চৌধুরী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ১৯:৩১
Share:

চঞ্চল চৌধুরীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অপর্ণা সেন। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।

বড় অস্থির সময়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘পদাতিক’ মুক্তি পেল। এক দিকে আরজি কর-কাণ্ডে এলোমেলো ভারত। ভারাক্রান্ত শহর কলকাতার প্রত্যেক দর্শকমন। অন্য দিকে, বাংলাদেশ উত্তপ্ত প্রথমে রাজনীতি, পরে বন্যার কারণে। যে কারণে ১৬ অগস্ট বাংলাদেশে ছবিটির মুক্তি ঘটাতে পারেননি ছবির প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান। এমন পরিস্থিতিতেও শহর কলকাতায় যাঁরা ছবিটি দেখেছেন, তাঁরা পরিচালক এবং মু্খ্য চরিত্রাভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যেমন, অপর্ণা সেন। পরিচালক-অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে ছবির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রত্যেকের কাজ ধরে ধরে বিশ্লেষণ করেছেন। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “অভিনয় এই ছবির মস্ত বড় সম্পদ। বিশেষ করে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ে মৃণাল সেন একেবারে জীবন্ত হয়ে উঠেছেন।” অপর্ণার প্রশংসা কাঁটাতারের বেড়া টপকে পৌঁছে গিয়েছে অভিনেতার কাছেও। কতটা আপ্লুত তিনি?

Advertisement

চঞ্চলের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেতা বলেছেন, “টিভির তখনও এত রমরমা নেই। গ্রামে বিদ্যুতের অভাবে সাদা-কালো টিভি দেখাও প্রায় অসম্ভব। এমন পরিস্থিতিতে ভিসিআর-এ পুরনো বাংলা ছবি দেখতাম। তখন থেকে অপর্ণা সেনের ভক্ত। সেই খ্যাতনামী ‘পদাতিক’ দেখেছেন। আমার অভিনয় দেখে প্রশংসা করেছেন। অবশ্যই আনন্দিত, গর্বিত।” চঞ্চল তাঁর এই অর্জন ভাগ করে নিয়েছেন নিজের দেশ, দেশবাসীর সঙ্গে। তাঁর কথায়, “আমার এই অর্জনের একমাত্র দাবিদার নিজের দেশ, প্রত্যেক দেশবাসী। যাঁরা আমার ছবি দেখে, আমায় ভালবেসে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।” একই সঙ্গে এ-ও জানাতে ভোলেননি যে, দুই বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি তাঁকে একই সঙ্গে উদ্বিগ্ন এবং ব্যথিত করেছে। ফলে, ছবিমুক্তির পর প্রশংসিত হয়ে যতটা আনন্দিত হওয়ার কথা ততটা আনন্দিত তিনি হতে পারেননি। ঈশ্বরের কাছে তাঁর প্রার্থনা, তিনি যেন দুই দেশের প্রত্যেককে রক্ষা করেন।

‘পারমিতার একদিন’-এর পরিচালক শুধু অভিনয়ের প্রশংসা করেই ক্ষান্ত নন। তিনি চঞ্চলকে আবারও ভারতীয় বাংলা ছবিতে অভিনয়ের অনুরোধ জানিয়েছেন। কলকাতার দর্শক আবারও বড় পর্দায় তাঁকে দেখার জন্য মুখিয়ে। অভিনেতাও নিশ্চয়ই ততটাই আগ্রহী? জবাবে তাঁর বক্তব্য, “আমি তো একসঙ্গে খুব বেশি কাজ করি না। ২০১৯-এ ‘হাওয়া’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। মুক্তি পায় ২০২২-এ। ২০২২-এ ‘পদাতিক’-এর শুটিং করেছিলাম। ২০২৪-এ ছবিটি মুক্তি পেল। মাঝে শাকিব খানের ‘তুফান’ ছবিতে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছি।” তবে কম ছবি করলেও যখনই ভাল ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন, তিনি সাড়া দিয়েছেন। আগামী দিনেও সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান চঞ্চল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement