Cinematography ACT

সিনেমাটোগ্রাফ আইনে বদল এনে সিনেমাতেও কি নিয়ন্ত্রণ চাইছে কেন্দ্র? শুরু বিতর্ক

খসড়া বিল অনুযায়ী, কেন্দ্র মনে করলে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়ে ফের তা সেন্সর বোর্ডের কাছে পাঠাতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২১ ০৭:৪৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ উঠেছে। এ বার মোদী সরকার সিনেমাটোগ্রাফ আইনে সংশোধন করে বাকস্বাধীনতা ও বিরুদ্ধ মত প্রকাশের অধিকারেও হস্তক্ষেপ করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠল।

Advertisement

সাধারণ মানুষের মতামত জানার জন্য মোদী সরকার সিনেমাটোগ্রাফ (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। তা দেখেই পরিচালক, প্রযোজক থেকে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চমকে উঠেছেন। কারণ খসড়া বিলে মোদী সরকার সিনেমায় ইচ্ছে মতো কাঁচি চালানোর জন্য নিজের হাতে কার্যত ‘সুপার সেন্সর পাওয়ার’ তুলে নিতে চাইছে। খসড়া বিল অনুযায়ী, কেন্দ্র মনে করলে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়ে ফের তা সেন্সর বোর্ডের কাছে পাঠাতে পারে। তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক চাইছে, ১৯৫২ সালের সিনেমাটোগ্রাফ আইনে নতুন একটি ধারা যোগ করা হোক। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। এমনিতেই কেন্দ্রের কাছে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়ার নথি চেয়ে পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে কেন্দ্র একবার সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া সিনেমা আটকাতে পারে না। কেন্দ্র এখন সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ফের সিনেমার পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা চাইছে।

এখন সেন্সর বোর্ড সিনেমার ক্ষেত্রে তিন রকম শংসাপত্র দেয়, ‘ইউ’-সকলের দেখার মতো, ‘ইউ/এ’- ১২ বছরের কমবয়সী শিশুদের অভিভাবকদের তদারকিতে দেখার মতো, ‘এ’-প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। কেন্দ্র খসড়া বিলে বয়সের ভিত্তিতে আরও শ্রেণি বিভাজন চাইছে। যেমন ‘ইউ/এ ৭+’, ‘ইউ/এ ১৩+’, ইউ/এ ১৬+’। এত দিন সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে প্রযোজক-পরিচালকরা অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনালে যেতে পারতেন। সম্প্রতি তা তুলে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই নতুন খসড়া বিল দেখে আদুর গোপালাকৃষ্ণণ, কমল হাসন থেকে শাবানা আজমি, ফারহান আখতার, নন্দিতা দাসের মতো চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিত্বরা আপত্তি তুলেছেন। তাঁরা নিজেদের আপত্তি জানিয়ে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রককে খোলা চিঠিও পাঠিয়েছেন। কমল হাসনের বক্তব্য, সিনেমা, সংবাদমাধ্যম, সাহিত্য জগত চোখ, কান, মুখ ঢেকে বসে থাকতে পারে না। গণতন্ত্রে আঘাত এলে তা দেখে, শুনে মুখ খোলাটাই একমাত্র দাওয়াই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement