দর্শনা, বনি এবং ইশানি। —ফাইল চিত্র
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে এ বার ওমিক্রনে কাবু দেশ। ফের লকডাউনের আশঙ্কা। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। বাংলাতেও নাইট কার্ফু চালুর কথা ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের কি উপার্জনহীন হতে চলেছেন বহু মানুষ? এর কি কোনও সহজ সমাধান নেই? পরিচালক রিনো দত্ত বলছেন, সমাধান আছে তো! সাধারণ মানুষই পারে এমন দুর্দিনে অসাধারণ হয়ে উঠতে। সেই গল্প নিয়েই ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরে আসছে তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘সুপারম্যান’। ছবিটি মুক্তি পাবে 'অমিত আচার্য ফিল্মস"-এর ছাতার নীচে। নামভূমিকায় বনি সেনগুপ্ত। বিপরীতে ইশানি। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে দর্শনা বণিককে।
জীবনী এবং সম্পর্কের পরেই ইদানীং পরিচালকদের পছন্দের বিষয় হয় রহস্য-রোমাঞ্চ নয় ইতিহাস। সেখানে এক জন সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প কেন বাছলেন পরিচালক? আনন্দবাজার অনলাইনকে রিনোর যুক্তি, ‘‘অতিমারির সময়ে কাছ থেকে এমন অনেক মানুষকে দেখেছি। তাঁরা নিজেদের ছাপিয়ে গিয়ে অন্যের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরাই শিখিয়েছেন, হাত বাড়ালে আজও বন্ধু পাওয়া যায়। সেই মানুষদের কথা ভেবেই আমার এই ছবি।’’ রিনোর আরও দাবি, হিন্দিতে ‘প্যাডম্যান’ বা ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’য় এই ধরনের মানুষের কথা বলা হয়েছিল। বাংলায় সম্ভবত এই প্রথম।
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র এক গ্রাম্য যুবক। তার ‘সুপারম্যান’ হয়ে ওঠার ইচ্ছে কাজের মধ্যে দিয়ে। যদিও সেই ইচ্ছে শেষ পর্যন্ত শুধু তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়বে বাকি গ্রামবাসীর মধ্যেও। এমন এক চরিত্রে বনি কেন? পরিচালকের বক্তব্য, অভিনেতার চোখ-মুখের সারল্যই ওঁকে আকৃষ্ট করেছে। তা ছাড়া, সুপারম্যান-সুলভ শারীরিক গঠনও বাছাইয়ের অন্যতম কারণ।
চিন্তা-ভাবনা করেই কি বিপরীতে কৌশানি নয়, ইশানিকে নেওয়া? ‘‘দর্শকরা ওঁদের পছন্দ করলে আগামী দিনে অবশ্যই জুটির কথা ভাবব’’ ঝটিতি জবাব রিনোর। ছবির গল্প লিখেছেন অর্ণব ভৌমিক। কলকাতা এবং শহরতলিতে শ্যুটের কথা ভেবেছেন পরিচালক।