বনি-কৌশানী
মান-অভিমান অতীত। কথা দিয়েছিলেন দু’জনেই, সাময়িক দূরত্ব মিটিয়ে বড় করে ফিরছেন তাঁরা। কথা রাখলেন বনি সেনগুপ্ত, কৌশানী মুখোপাধ্যায়। ১৭ মে কৌশানীর জন্মদিনে যুগলের ঘোষণা, প্রযোজনা সংস্থা আনতে চলেছেন তাঁরা! বিশেষ দিনে প্রকাশ্যে আসবে সংস্থার নাম। সবার আগে সে খবর তাঁরা পৌঁছে দিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে।
কৌশানীর জন্মদিনের উল্লাস-পর্ব যদিও আগের দিন থেকে শুরু। এ দিন তিনি দুর্গাবাড়িতে দু’হাজার লোককে খাইয়েছেন। পাশাপাশি ভোগ উৎসর্গ করেছেন দেবীপ্রতিমাকে। মন্দির সেজে উঠেছে নায়িকার ফুলে। সেজেছেন দেবীপ্রতিমাও। এই সমস্ত কাজে পাশে ছিলেন বনি। জন্মদিনের আগের রাত যথারীতি উদ্যাপনে মাতোয়ারা। কেক, পানীয়, উল্লাস.... সব সাজিয়ে দিয়েছেন বনি। কৌশানীর কথায়, ‘‘জন্মদিনের কেক, বন্ধুদের আমন্ত্রণ, বাজি পোড়ানো, বাড়ির ছাদ সাজানো, ভাল-মন্দ খাওয়া দাওয়া— কিচ্ছু বাকি রাখেনি বনি।’’
তাতেই কি সব অভিমান গলে জল? প্রশ্ন শুনে গলা ছেড়ে হাসি নায়িকার। যুক্তি, ‘‘বলেইছিলাম, ছেড়ে যাচ্ছি না। নিজেকে সামলাতে সময় নিচ্ছি। এত সহজে ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো সম্পর্ক নয় আমাদের। অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি। আরও অনেক পথ হাঁটা বাকি। মান-অভিমান থাকবেই। সে সব ধরে বসে থাকলে চলবে কেন?’’ জন্মদিনের সন্ধেও উৎসবমুখর। বনি-কৌশানী এ দিন নায়িকার সমস্ত অনুরাগীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অনেক দূর থেকে ছোট-বড় নানা বয়সের মানুষ সাড়া দিয়েছেন তাঁর আমন্ত্রণে। তাঁদের নিয়ে কেক কাটবেন। আমন্ত্রিতরাও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
বনি রাতপার্টির আয়োজন করলেও এখনও নাকি বিশেষ কোনও উপহার কৌশানীর হাতে তুলে দেননি। তবে নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা সম্পর্কে আনন্দবাজার অনলাইনকে বনি জানিয়েছেন, ছবি প্রযোজনা দিয়েই কাজ শুরু করবেন তাঁরা। পাশে রয়েছেন পরিচালক বাবা অনুপ সেনগুপ্ত, ইম্পা-র সদস্য বনির মা পিয়া সেনগুপ্ত। জুলাই মাসে ছবির শ্যুট শুরুর ইচ্ছে তাঁদের। কোনও বড় পরিচালককে দিয়ে কি প্রথম ছবি বানাবেন? অভিনয়ে কোন কোন তারকাদের দেখতে পাওয়া যাবে? নায়কের দাবি, আপাতত সবটাই আলোচনার পর্যায়ে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ভাবে ছবির নাম ঘোষণা হবে।