তাঁদের বিয়ের মতো ফিল্মের তারকাদের ডিভোর্সের খরচও আকাশছোঁয়া। কোনও কোনও বিচ্ছেদ এতটাই মহার্ঘ্য যে, সেই টাকায় সাধারণ মানুষের একাধিক বার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়ে যাবে।
২০১৬ সালে ভেঙে যায় করিশ্মা কপূরের এক দশকের পুরনো বিয়ে। ডিভোর্স করার সময় করিশ্মা এবং তাঁর স্বামী সঞ্জয়ের মধ্যে ১৪ কোটি টাকার খোরপোশের রফা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রাক্তন স্ত্রীকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা করে খোরপোশ দিতে সঞ্জয় অঙ্গীকারবদ্ধ।
ফরহান এবং অধুনার বিচ্ছেদের খবর সকলকে চমকে দিয়েছিল। বিয়ের ১৬ বছর পরে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন এই সুপারকাপল। মুম্বইয়ের বিলাসবহুল বাংলো নিজের কাছেই রেখেছেন অধুনা। পাশাপাশি প্রতি মাসে ফরহান বড় অঙ্কের টাকা খোরপোশ দেন প্রাক্তন স্ত্রী এবং তাঁদের সন্তানদের জন্য।
হৃতিক ও সুজানের বিয়ে হয়েছিল ২০০০ সালে। তাঁদের বিচ্ছেদ শুধু বলিউডেই নয়, সারা পৃথিবীতেই নজরকাড়া। শোনা যায় সুজান ৪০০ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন। শেষ অবধি তা নাকি রফা হয় ৩৮০ কোটিতে।
বয়সে ১৩ বছরের বড় অমৃতার সঙ্গে সইফের দাম্পত্য স্থায়ী ছিল ১৩ বছর। এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানান, বিচ্ছেদের সময় খোরপোশের রফা হয়েছিল আড়াই কোটি টাকায়। এ ছাড়াও প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা তিনি দেন অমৃতা ও তাঁর দুই সন্তানের খরচ বাবদ।
রিয়া পিল্লাই ছিলেন সঞ্জয় দত্তের দ্বিতীয় স্ত্রী। শোনা যায় বিচ্ছেদের পরেও রিয়ার খরচ বহন করতেন সঞ্জয়। তাঁদের বিচ্ছেদকালীন খোরপোশ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায় না। তবে শোনা যায়, সঞ্জয় ৪ কোটি টাকা খোরপোশ দিয়েছিলেন।
সঞ্জয়ের পরে লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গেও রিয়ার সম্পর্ক ভেঙে যায়। সেখানে রিয়া প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা খোরপোশ দাবি করেছিলেন বলে জানা যায়। যার মধ্যে ৩ লাখ টাকা তাঁর খরচ এবং বাকি টাকা ছিল তাঁর মেয়ের জন্য।
রানি মুখোপাধ্যায়ের স্বামী আদিত্য চোপড়া তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ডিভোর্সের সময় ৫০ কোটি টাকা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন বলে শোনা যায়।
২০১১ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় প্রভুদেবা এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী রামলতার।
শোনা যায় প্রভুদেবা খোরপোশ বাবদ মাত্র ১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গে ২০-২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি তিনি প্রাক্তন স্ত্রীকে দিয়েছিলেন বলেও শোনা যায়।
দেড় দশকের বেশি দাম্পত্যের পরে ২০০২ সালে ডিভোর্স হয়ে আমির-রীনার।
শোনা যায়, আমিরকে নাকি বিচ্ছেদকালীন ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল প্রাক্তন প্রথম স্ত্রীকে।
আলোচনায় ছিল আরবাজ খান ও মালাইকা অরোরার ডিভোর্সও।
তাঁদের বিচ্ছেদকালীন খোরপোশ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায় না। তবে শোনা যায়, মালাইকা ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন আরবাজের কাছে।