প্রেমের পথে বয়স কোনও বাধা নয়। বারবার তা দেখিয়েছেন বলিউডের তারকা দম্পতিরা। মধ্য চল্লিশেও বিয়ে করে সুখে ঘরসংসার করছেন তাঁরা। যেমন আমির খান। ছেলে, মেয়ে এবং স্ত্রী রিনাকে ভরপুর সংসার ছিল মিস্টার পারফেকশনিস্টের। বাধ সাধল নতুন সম্পর্ক। ‘লগান’-এর সেটে আলাপ কিরণ রাও-এর সঙ্গে। অতঃপর রিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং কিরণ রাওকে দ্বিতীয় বিয়ে ২০০৫ সালে । তখন আমিরের বয়স ৪০ বছর।
আমির-কিরণ এখন বলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল। পুত্র আজাদকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার। শোনা যায়, রিনার সঙ্গেও কিরণের সম্পর্ক ভাল। এমনকী, আমির-রিনার দুই সন্তান জুনেইদ ও আইরার সঙ্গেও তাঁদের বিমাতার সম্পর্কও দিব্যি মজবুত।
সইফ আলি খান বরাবরই ছকভাঙা। ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন বয়সে বেশ কিছুটা বড় অমৃতা সিংহকে। তখন সইফের বয়স ২১ বছর। অমৃতা তাঁর থেকে ১২ বছরের বড়। সেই বিয়ে ভেঙে গেল ২০০৪ সালে। এরপর করিনার সঙ্গে কয়েক বছরের দুরন্ত প্রেমের পরে বিয়ে ২০১২ সালে।
অমৃতার থেকে সইফ ১২ বছরের ছোট। আবার করিনার সঙ্গে সইফের বয়সের পার্থক্য ১০ বছরের। দ্বিতীয় দাম্পত্যে ভালই আছেন শর্মিলা-তনয়। করিনাও মানিয়ে নিয়েছেন পতৌদির বেগমের ভূমিকায়। তাঁদের ছেলে তৈমুর তো সবথেকে আলোচিত স্টারকিড। সইফের প্রথম পক্ষের দুই সন্তানের সঙ্গেও করিনার সম্পর্ক ভাল।
সঞ্জয় দত্ত ৪৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন মান্যতাকে। যমজ সন্তান নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার। সঞ্জয়ের জীবনে বহু ঘাত প্রতিঘাতে তাঁর পাশে থেকেছেন মান্যতা।
তবে মান্যতা, সঞ্জয়ের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী। তাঁর প্রথম স্ত্রী ছিলেন রিচা শর্মা। দু’জনে বিয়ে করেছিলেন ১৯৮৭ সালে। ১৯৯৬ সালে রিচা মারা যান ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে। ১৯৯৮ সালে সঞ্জয় বিয়ে করেন রিয়া পিল্লাইকে। সেই বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল ২০০৮ অবধি। এরপর নতুন সংসার মান্যতাকে নিয়ে।
বিপাশা বসুর সঙ্গে প্রেম ভাঙার পরে অনেকদিন একাই ছিলেন জন আব্রাহাম। তারপর বিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বহু দূরে থাকা প্রিয়া রঞ্চলকে। ২০১৪ সালে দু’জনে বিয়ে করেন ঘরোয়া অনুষ্ঠানে।
প্রিয়া পেশায় একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার। জন বরাবরই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চুপচাপ। বিপাশার সময়েও যেমন সম্পর্ক নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখতেন, এখনও সেই ধারা মেনে চলেন। প্রকাশ্যে আনেন না দাম্পত্য।
ব্যবসায়ী জেনে গুডএনাফকে ২০১৬ সালে বিয়ে করেছিলেন প্রীতি জিন্টা। তখন তাঁর বয়স ৪১ বছর। এখন তাঁরা টিনসেল টাউনের সুপারকাপল।
অতীতে নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল প্রীতির। কিন্তু সেই প্রেম ভেঙে যায়। পুরনো সম্পর্কের ছায়া পড়েনি প্রীতির দাম্পত্যে।
অভিনেত্রী পূজা বাত্রা প্রথম বিয়ে করেছিলেন ২০০২ সালে। প্রথম পক্ষের স্বামী ছিলেন আমেরিকার অর্থোপেডিক সার্জেন সনু অহলুওয়ালিয়া। সেই বিয়ে ভেঙে যায় ২০১১ সালে।
চলতি বছরের ৪ জুলাই আবার বিয়ে করেছেন ৪২ বছর বয়সী প্রাক্তন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল পূজা। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী অভিনেতা নবাব শাহ। ইনস্টাগ্রামে ভক্তরা উচ্ছ্বসিত তাঁদের বিয়ের ছবি দেখে।