কেন ভেঙে পড়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা? ছবি: সংগৃহীত।
এখন তাঁর বিশ্বজোড়া পরিচিতি। বলিউড থেকে হলিউডে গিয়ে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। কিন্তু এত খ্যাতি নাকি চাননি ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাঁর স্বপ্ন ছিল অন্য রকম। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কার মা মধু চোপড়া।
অভিনয়ে নাকি কোনও আগ্রহই ছিল না প্রিয়ঙ্কার। এক প্রকার অনিচ্ছা নিয়েই অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। তামিল ছবি ‘থামিজ়হান’-এ বিজয়ের বিপরীতে প্রথম অভিনয় প্রিয়ঙ্কার। কিন্তু মোটেই খুশি ছিলেন না অভিনেত্রী।
প্রিয়ঙ্কার প্রথম ছবির বিষয় নিয়ে মধু চোপড়া বলেন, “প্রিয়ঙ্কা ছবিতে অভিনয় করতে চাননি। এক জনের মাধ্যমে দক্ষিণ ভারতের ছবি থেকে প্রস্তাব পায়। আমি যখন ওকে ছবির প্রস্তাবের কথা বলেছিলাম, ও কেঁদে ফেলেছিল।” প্রিয়ঙ্কা নাকি তখন কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘‘আমি ছবিতে কাজ করতে চাই না।’’ মধু চোপড়া বলার পরেই প্রিয়ঙ্কা সেই দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হন। মধু আরও বলছেন, “শুটিং শুরু হওয়ার পরে সেই ছবির কাজ ওর ক্রমশ ভাল লাগতে থাকে। ভাষা না জানলেও, কাজটি উপভোগ করতে শুরু করে। টিমের সবাই প্রিয়ঙ্কাকে খুব সম্মান করত।”
তবে প্রিয়ঙ্কার স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে তিনি মনোবিদ অথবা ‘অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার’ হবেন। মেয়ের সম্পর্কে অকপট মধু চোপড়া বলেছিলেন, “অনেকেই প্রিয়ঙ্কার কাছে ছবির প্রস্তাব নিয়ে আসত। কিন্তু ওর কোনও আগ্রহ ছিল না। ও পড়াশোনাটাই মন দিয়ে করতে চাইত। ও পড়াশোনায় খুবই মনযোগী ছিল।” কিন্তু সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় খেতাব জেতার পরে মায়ের কথা শুনেই অভিনয়ে মন দেন তিনি। পরে অবশ্য তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ রাখেননি অভিনেত্রী।