করিনা কপূর খান। ছবি: সংগৃহীত।
তিন বছর আগে মাতৃত্বকালীন অভিজ্ঞতা বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছিলেন করিনা কপূর খান। অভিনেত্রীর অনুরাগীরাও এই বই নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। এ বার সেই বইয়ের জন্যই আইনি নোটিস পেলেন করিনা।
করিনার লেখা বইটির নাম ‘করিনা কপূর খান'স প্রেগন্যান্সি বাইবেল: দ্য আলটিমেট ম্যানুয়াল ফর মমস টু বি’। বইয়ের শিরোনামে ‘বাইবেল’ শব্দটির ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের জনৈক সমাজকর্মী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সম্প্রতি বেবোকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে। বিচারপতি গুরপাল সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সিঙ্গল বেঞ্চ করিনা এবং তাঁর বইটির প্রকাশকের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠিয়েছে। কেন বাইটির শিরোনামে ‘বাইবেল’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, আদালত দু’পক্ষের কাছে তার নেপথ্য কারণ জানতে চেয়েছে।
অভিযোগকারীর পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘‘সারা পৃথিবীতে বাইবেল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গ্রন্থ এবং তার সঙ্গে করিনা কপূর খানের মাতৃত্বকালীন অবস্থার তুলনা অযৌক্তিক।’’ পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, বইটির ‘সস্তা প্রচার’-এর স্বার্থেই করিনা এ হেন নামকরণ করেছেন।
২০২১ সালে প্রকাশিত এই বইতে করিনা তাঁর মাতৃত্বকালীন অবস্থার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা লিখেছেন। হবু মায়েদের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠার জন্যই তিনি এই বইটি লিখেছিলেন। সূত্রের খবর, অভিযোগকারী প্রথমে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলে, তার পর তিনি নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানেও সুবিধা না পেয়ে তিনি অতিরিক্ত দায়রা আদালতে যান। কিন্তু আদালত তাঁর অভিযোগের নেপথ্যে যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি।
এখনও পর্যন্ত করিনা এই নোটিস নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। আগামী ১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।