হিন্দির পাশাপাশি এক মরাঠি ছবিতেও কাজ করার কথা শ্রেয়সের। যার ঘোষণা হবে ক’দিনের মধ্যেই। —ফাইল চিত্র
২০২২ সালে অভিনেতা শ্রেয়স তলপড়েকে দর্শক দেখেছিল একটু অন্য ভাবে। অভিনয়ের ব্যস্ততা তো ছিলই, দক্ষিণী চলচ্চিত্র ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ়’(২০২১)-এর হিন্দি ভার্সনে অল্লু অর্জুনের কণ্ঠ ডাবিং করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, প্রস্তাবটা পেয়ে তিনি অবাক হয়েছিলেন খুব, কিন্তু উপভোগ্য অভিজ্ঞতা ছিল এটি।
শ্রেয়স বলেন, “পুষ্পা’র ডাবিং-এর সময় অনেক কিছু নতুন করে করা হয়েছিল। অল্লু অর্জুনের সংলাপের আক্ষরিক হিন্দি অনুবাদ ছিল, ‘পুষ্পা যায়েগা নেহিঁ’, কিন্তু আরও বেশি আবেদন তৈরি করার জন্য সেটাকে বদলে করা হয়, ‘পুষ্পা ঝুকেগা নেহিঁ’। তার পর কী হয়েছিল, এর প্রভাব, অজানা নয় কারও।”
একই ছবিকে আঞ্চলিক বিভিন্ন ভাষায় রূপ দেওয়ার সময় আক্ষরিক অনুবাদের পরিবর্তে স্থানীয় নির্যাস ফুটিয়ে তোলাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন শ্রেয়স। না হলে বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকের মনে একই রকম দাগ কাটতে পারবে না ছবিটি।
অভিনেতা আরও বলেন, “‘ফ্লাওয়ার নেহিঁ, ফায়ার হুঁ ম্যায় সংলাপটি মূল তেলুগু ছবিতে ছিলই না। হিন্দি সংস্করণে আমরা এটা রেখেছিলাম। এক বছর পরেও লোকজনকে সেই সংলাপই বলতে শুনি।”
কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-তে শ্রেয়স ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। এমন একজন সুপরিচিত এবং সম্মাননীয় ব্যক্তিত্বকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা বড় দায়িত্ব বলে জানান অভিনেতা।
তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য এই যে, চরিত্রটা আমি কৌতুকের ভঙ্গিতে উপস্থাপন করব না। শুধু তাঁকে ‘মিমিক’ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। যেন চরিত্রচিত্রণ স্বাভাবিক হয়, এবং মর্যাদাসম্পন্ন হয়, ঠিক যেমনটা তিনি ছিলেন।”
পরিচালক কঙ্গনার প্রশংসা করে শ্রেয়স বলেন, “সেটে ছবির চিত্রনাট্যের উপর কঙ্গনার দখল ও স্বচ্ছ ধারণা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। প্রতিটি অভিনেতার কাছ থেকে ও কী চায়, তা স্পষ্ট ভাবে জানে। পরিচালক নিজে এতখানি প্রস্তুত বলেই পুরো শুটিংটাই শুরু থেকে শেষ অবধি মসৃণ ভাবে হয়েছে। এমন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করলে অভিনেতা হিসাবেও স্বাভাবিক ভাবেই নিজের সেরাটা বেরিয়ে আসবে।”
হিন্দির পাশাপাশি এক মরাঠি ছবিতেও কাজ করার কথা শ্রেয়সের। যার ঘোষণা হবে ক’দিনের মধ্যেই। হিন্দি ও মরাঠি ছবির মূল তফাত বাজেটের দিক থেকে, জানান শ্রেয়স। তাঁর মতে, অন্য সব দিক থেকেই মরাঠি ছবি হিন্দি ছবির সমতুল্য।
তিনি বলেন, “মূল সমস্যা বাজেট। সেটাও আমরা যে কোনও দিন অতিক্রম করতে পারব। আমাদের একটা ‘পুষ্পা’ বা ‘কান্তারা’ চাই শুধু। বিষয়বস্তু ভাল হলে ভাষা আজকের দিনে কোনও বাধা নয়।”
তাঁর আশা, দক্ষিণী ছবি যে ভাবে চোখ খুলে দিয়েছে, মরাঠি ছবিতেও সেই সুদিন আসতে দেরি নেই।