শাহরুখের পাশে অভিনয় করেও সাফল্য পাননি যুগল হংসরাজ। ছবি: সংগৃহীত।
শিশুশিল্পী হিসাবে শুরু করেছিলেন পথচলা। অভিষেক হয়েছিল শেখর কপূরের মতো বলিউড পরিচালকের ‘মাসুম’ ছবিতে অভিনয় করে। শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন ‘কর্ম’, ‘সলতনত’ ছবিতেও। তরুণ বয়সে যুগল হংসরাজের অভিনয়ে অভিষেক ‘আ গলে লগ যা’ ছবির মাধ্যমে। তার পরে কাজ করেছেন ‘মহব্বতেঁ’, ‘কভি খুশি কভি গম’-এর মতো ছবিতেও। তা সত্ত্বেও সফল অভিনেতা হিসাবে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি যুগল হংসরাজ। বক্স অফিসে একের পর এক মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর ছবি। কী ভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে যুঝতেন অভিনেতা? সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন যুগল।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যুগল বলেন, ‘‘আমি অস্বীকার করব না যে আমাকে অনেক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। আমার নিজের ছবির ব্যর্থতা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়েছে। লোকজন যে শুধু আমার সমালোচনা করেছেন, তা-ই নয়। তাঁরা আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন।’’ নিজের ব্যর্থতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যুগল বলেন, ‘‘আমার ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হলে আমাকে ‘অপয়া’ তকমা দেওয়া হত। এমনকি, যে ছবির কাজ শুরু পর্যন্ত হয়নি, তেমন ছবির প্রযোজকদের কাছেও আমাকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে।’’
যুগল জানান, বক্স অফিসে ব্যর্থতার কারণে তাঁর একাধিক ছবির কাজও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৮-১৯ বছর বয়সে এমন ঘটনা ঘটলে দুঃখে কেঁদে ফেলতেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘‘যখন আমাকে ফোন করে বলা হত, যে ছবি আমার করার কথা, সেই ছবি আর তৈরি হবে না, তখন আমার আর কিছু মনে হত না। আমি শুধু কথাটুকু শুনে ফোন রেখে দিতাম। আমার আর কোনও কিছু বলার ছিল না।’’ তবে সময়ের সঙ্গে অভিজ্ঞ হয়েছেন যুগল। ব্যর্থতার সঙ্গে যুঝে এখন অনেক পরিণত অভিনেতা তিনি। কাজ করছেন একাধিক প্রজেক্টেও। শেষ বার তাঁকে দেখা গিয়েছিল ‘শিব শাস্ত্রী বালবোয়া’ ছবিতে। এর পর ‘এনআরআই ওয়াইভস’-এ দেখা যেতে চলেছে যুগল হংসরাজকে।