আর বিল নয়, ঘোষণা হয়ে গিয়েছে সিটিজ়েনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্টের। যার পর থেকে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশ জুড়ে। আঁচ লেগেছে বলিউডেও। প্রতিবাদে কতটা সরব সেলেবরা? জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন একাধিক তারকা। তবে এখনও চুপ বি-টাউনের এ-লিস্টাররা। শাহরুখ খান নিজে জামিয়া মিলিয়ার প্রাক্তনী। নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দেওয়া খান-কপূররা এখন আশ্চর্য ভাবে নীরব। বিতর্ক এড়াতে?
স্বরা ভাস্কর, রিচা চড্ডার মতো অভিনেত্রী কিংবা মহেশ ভট্টের মতো ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়ররা বরাবরই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। এ বার জামিয়া মিলিয়া এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীদের উপরে পুলিশের আক্রমণে রোষ ছড়িয়ে পড়েছে সব স্তরেই। টুইটারে দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসনকে ধিক্কার জানিয়েছেন তাপসী পান্নু, কঙ্কণা সেন শর্মা, রাজকুমার রাও, বিক্রান্ত মেসি, সোনি রাজদান, আলি ফজ়ল-সহ অনেকেই। চুপ করে থাকতে না পেরে টুইটারে ফিরেছেন অনুরাগ কাশ্যপ। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী সায়নী গুপ্তও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একফ্রেমে দেখা গিয়েছিল যে বলি সেলেবদের, তাঁদের মধ্যে কর্ণ জোহর, রণবীর সিংহ, আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাওকে ট্যাগ করে সায়নী লিখেছেন, ‘জামিয়া এবং আলিগড়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে আর্জি জানাচ্ছি, এঁদের মধ্যে অন্তত একজন কেউ মিস্টার মোদীকে টুইট কিংবা মেসেজ করুন। এখনও কি কথা বলার সময় আসেনি?’ এঁদের মধ্যে শুধু রাজকুমার এবং আয়ুষ্মান খুরানাই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হলিউডের তারকা জন কুসাকও প্রতিবাদ করে টুইট করেছেন।
বিতর্ক দানা বেঁধেছে অক্ষয়কুমারের একটি ‘লাইক’ নিয়েও। জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রদের আক্রান্ত হওয়ার ভিডিয়োতে অক্ষয়ের দেওয়া ‘লাইক’ ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরেই অক্ষয় টুইট করে জানান, লাইকটি ভুলবশত করে ফেলেছিলেন তিনি। ‘আর্টিকল ফিফটিন’-এর পরিচালক অনুভব সিংহ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধু রুপোলি দুনিয়াকেই টার্গেট করা হচ্ছে এ ব্যাপারে। সম্প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হয়েছেন ফারহান আখতার। ‘নিজের গোষ্ঠীর লোকদের বলুন, যাতে প্রতিবাদের নামে দেশের সম্পত্তি নষ্ট না করে,’ এই বলে ফারহানের উদ্দেশে টুইট করেছিল জনৈক ব্যক্তি। ফারহান তার জবাবে লিখেছেন, ‘ডেভিড ধওয়নকে বলছি যাতে আপনাকে ‘বাইগট নাম্বার ওয়ান’-এ কাস্ট করেন।’
টলিউডেও প্রতিবাদের চিত্রটা অনেকটা এ রকমই। দেব, অরিন্দম শীল, অপর্ণা সেনের মতো হাতেগোনা কয়েক জনই মুখ খুলেছেন। আবীর চট্টোপাধ্যায়ের টুইটে শ্লেষের ছোঁয়া, ‘আবার সুকুমার রায় পড়ছি...।’ ‘হীরক রাজার দেশে’র কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন পরমব্রত।
রাজা কি আদৌ শুনছেন?