প্রতিশ্রুতি জাগিয়ে শুরু করেও হারিয়ে গিয়েছেন। বলিউডে এই রকম তারকাদের তালিকায় অন্যতম নাম যুগল হংসরাজ। শিশুশিল্পী হিসেবে সূত্রপাত। তারপর পিছিয়ে পড়েন প্রতিযোগিতার দৌড়ে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
যুগলের জন্ম ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই। প্রথম অভিনয় মাত্র ১১ বছর বয়সে। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায় ‘মাসুম’। সে ছবিতে নাসিরুদ্দিন শাহ, শাবানা আজমির মতো তারকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন যুগল। বিভিন্ন মহলে সমাদৃত হয় ‘মাসুম’। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
প্রথম ছবি থেকেই শিশুশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান যুগল। কাজ করেন ‘কর্মা’, ‘সলতানত’-এর মতো ছবিতে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
সাবালক নায়ক হিসেবে প্রথম ছবি, ‘আ গলে লগ জা’ মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। ‘মাসুম’ ছবিতে তাঁর বোনের ভূমিকায় অভিনয় করা ঊর্মিলা মাতন্ডকর-ই ছিলেন ‘আ গলে লগ জা’ ছবির নায়িকা। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
ছবির পাশাপাশি যুগল কাজ করেন বেশ কিছু বিজ্ঞাপনেও। সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনে তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় যুগলের দ্বিতীয় ছবি ‘পাপা কহতে হ্যায়’। ময়ূরী কঙ্গোর বিপরীতে যুগলের এ ছবি বক্স অফিসে সে ভাবে সাফল্য না পেলেও জনপ্রিয় হয় ছবির গান। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
তাঁর কেরিয়ারের সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছবি ‘মহব্বতেঁ’ মুক্তি পায় ২০০০ সালে। এরপর থেকেই নামতে থাকে তাঁর কেরিয়ারগ্রাফ। সরে যেতে হয়েছিল নায়কের ভূমিকা থেকে। সুযোগ আসতে থাকে পার্শ্বচরিত্রে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
‘কভি খুশি কভি গম’, ‘আ জা নাচ লে’, ‘সালাম নমস্তে’-সহ কিছু ছবিতে তিনি পার্শ্বচরিত্রেই অভিনয় করেন। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
অভিনয়ে ব্যর্থতার পরে যুগল সরে যান পরিচালনায়। পরিচালনা করেন ‘রোডসাইড রোমিও’, ‘প্যায়ার ইম্পসিবল’-এর মতো ছবি। ২০০৮ সালে সেরা অ্যানিমেটেড ছবি হিসেবে পুরস্কৃত হয় ‘রোডসাইড রোমিও’। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
এরপর ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যান যুগল হংসরাজ। ছ’ বছর পরে তিনি খলনায়ক হয়ে বড় পর্দায় ফিরে আসেন ‘কহানি ২’ ছবিতে। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
বড় পর্দার মাঝে টেলিভিশনেও কাজ করেছেন যুগল। কিন্তু সে ভাবে আর মূলস্রোতে ফিরতে পারেননি। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
কর্ণ জোহরের ছোটবেলার বন্ধু যুগল কাজ করেছেন ‘ধর্মা প্রোডাকশন্স’-এর ক্রিয়েটিভ টিমেও। অনেকেই জানেন না ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর টাইটেল ট্র্যাক লেখা যুগলেরই। কফি শপে বন্ধু কর্ণের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে আট লাইন লিখে ফেলেন তিনি। ছবির সঙ্গে যা পরে সুপারডুপার হিট হয়। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
নয়ের দশকে অসংখ্য মহিলা অনুরাগীর হৃদয় জয় করেছিলেন যুগল। তাঁর নিজের জীবনে নাকি প্রথম প্রেম এসেছিল ‘মহাব্বতেঁ’-এর সেটে। ছবিতে তাঁর নায়িকা কিম শর্মা নাকি ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। কিন্তু পরে সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
পরে তাঁর জীবনে আসেন এনআরআই ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার জেসমিন ধিলোঁ। জেসমিনকে যুগল বিয়ে করেন ২০১৪ সালে। আমেরিকার মিশিগানে এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে গাঁটছড়া বাঁধেন দু’জনে। জেসমিনের দাবি, কিম শর্মার সঙ্গে তাঁর স্বামীর কোনওদিন কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)
নয়ের দশকের সুদর্শন চকোলেট বয় নায়ক যুগল হংসরাজ এখন কার্যত আমেরিকা প্রবাসী। সেখানেই স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ভরপুর সংসারী ‘মহাব্বতেঁ’-এর ‘সমীর শর্মা’। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)