লীনাকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী বিপ্লব।
বাংলা ধারাবাহিকের মান ও বিষয়বস্তু নিয়ে কটাক্ষের পাশাপাশি লেখিকা-চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে টেলিপাড়ায় হইচই এবং আনন্দবাজার অনলাইনে সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে রবিবার লীনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেছেন, ‘‘সাক্ষাৎকারে কথার পৃষ্ঠে কথা হচ্ছিল। উত্তেজনার বশে ‘গুলি করে মারা’র কথাটি বলে ফেলেছি। লীনাকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাইনি। আমি আন্তরিক দুঃখিত।’’ তবে ধারাবাহিকের মান নিয়ে তাঁর বক্তব্য বদলায়নি। পাশাপাশি অভিনেতা এ-ও জানিয়েছেন, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যক্তিগত বৈরিতা নেই। পুরোটাই অনিচ্ছাকৃত ভাবে ঘটে গিয়েছে।
শনিবার ভরত কল একটি ঝলক ভাগ করে নেন ফেসবুকে। সেখানেই চিত্রনাট্যকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে পর্দার দাপুটে খলনায়ককে। ওই ভিডিয়োয় বিপ্লবের অভিযোগ, লীনা নিজে নারী। তিনি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তার পরেও তাঁর সাম্প্রতিক সমস্ত ধারাবাহিকে নারীদের যথেষ্ট অবমাননা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সমাজের অবক্ষয়ের কারণ এই মুহূর্তে সব চ্যানেলে সম্প্রচারিত সমস্ত ধারাবাহিক। এই প্রেক্ষিতেই সংবাদমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য, এই ভূমিকার জন্য লীনাকে গুলি করে মারা উচিত!
এর পরেই আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে তাঁর সঙ্গে। বিপ্লবের যুক্তি, ‘‘এক সময়ে একচেটিয়া খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। কিন্তু বড় পর্দায় খলনায়ক হিসেবে একটি মানুষকে খারাপ দেখানো হয়েছে। ধারাবাহিকে সবসুদ্ধ তেমন! ব্যক্তি হিসেবেও হয়তো আমি খারাপ। কিন্তু রোজ আমার থেকেও খারাপ কিছু দেখতে সত্যিই খুব বাজে লাগে।’’ বিপ্লবের ধারাবাহিক নিয়ে সমালোচনায় বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই অভিনেতা ভরত কলেরও। তাঁর কথায়, “বিপ্লববাবুর ধারাবাহিক ভাল না-ই লাগতে পারে। নিন্দাও করতে পারেন। কিন্তু উনি কি বলতে পারেন, গুলি করে খুন করে দেওয়া উচিত লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে? আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” এর পরেই রবিবার আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষমা চান বর্ষীয়ান অভিনেতা।
যাঁকে ঘিরে এত কাণ্ড, সেই লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কী বলছেন? জনপ্রিয় ধারাবাহিক লেখিকা তথা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের শনিবারই বলেন, এ নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই। তবে বিষয়টি টেলিপাড়ার অনেকেই ফোনে তাঁকে জানিয়েছেন।