অভিনেত্রী কৃতি বর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। বেশ কিছু বহুল চর্চিত রিয়্যালিটি শোয়ের প্রতিযোগী। যার মধ্যে অন্যতম ‘বিগ বস্’ ও ‘রোডিজ়’। তবে একসময় তিনি চাকরি করতে আয়কর দফতরে। ছিলেন আয়কর আধিকারিক। পুরানো পেশা ছেড়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী হতে। তবে বেশ কয়েক মাস ধরেই ইডির নজরে ছিলেন কৃতি বর্মা। ২৬৩ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় আগেই নাম জড়িয়েছিল তাঁর। এ বার টিডিএস কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে তাতে রয়েছে মোট ১৪ জনের নাম। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন আয়কর পরিদর্শক তানাজি মণ্ডল অধিকারী। নাম রয়েছে অভিনেত্রী কৃতি বর্মা ও তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক ভূষণ পাটিল, রাজেশ শেট্টি-সহ আরও বেশ কয়েক জনের। দিল্লি নিবাসী কৃতি ২০১৮ সালেই আয়কর দফতরের ইনস্পেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার পর পা রাখেন মায়ানগরীতে। সেখানে একাধিক রিয়্যালিটি শো-তে দেখা যায় তাঁকে। খ্যাতিও পান।
২৬৩ কোটি টাকা তছরুপের মূল চক্রী নাকি আয়কর পরিদর্শক তানাজি। অভিযোগ, কৃতি নিজের ঊর্ধ্বতনের লগইনের অধিকার অপব্যবহার করে তছরুপের টাকা পাঠান ভূষণ পাটিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। যিনি কৃতির প্রেমিক। তছরুপের এই টাকা ব্যবহার করে গুরুগ্রামে ১.০২ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। পরে সেই সম্পত্তি তিনি ১.১৮ কোটি টাকায় বিক্রি করেন। সেই টাকা যায় কৃতির ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ, এই বিপুল পরিমাণ টাকা এ দিক-ও দিক করে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন কৃতি। গোটা বিষয়টি তদন্তাধীন।