(বাঁ দিকে) মন্নরা চোপড়া। মুনাওয়ার ফারুকি। ছবি: সংগৃহীত।
আন্তর্জাতিক তারকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়া এবং বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার তুতো বোন মন্নরা চোপড়া। দুই দিদি বলিউডের পরিচিত মুখ হলেও মন্নরা এখনও জায়গা করে উঠতে পারেননি বলিপাড়ায়। তবে ‘বিগ বস্ ১৭’-এর অন্যতম চর্চিত প্রতিযোগী তিনি। নিজের ব্যক্তিত্বের কারণেই এত দিন রিয়্যালিটি শোয়ের খেলায় এগিয়ে থেকেছেন তিনি। আর বাকি মাত্র চার দিন তার পরই ফিনালে। সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন মন্নরা। তবে এর মধ্যেই সহ-প্রতিযোগী মুনাওয়ার ফারুকির সঙ্গে বিশেষ এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে মন্নরার। সেই সম্পর্ক নাকি এখন আর নেহাত বন্ধুত্বে সীমাবদ্ধ নেই, দাবি ছিল ‘বিগ বস্’-এর ঘরে অন্যান্য প্রতিযোগীর। মুনাওয়ার ও মন্নরার রসায়ন চোখে পড়েছে দর্শকেরও। সমাজমাধ্যমের পাতায় ইতিমধ্যেই ‘মুন্নরা’ নামে তাঁদের জুটিতে সিলমোহর দিয়েছেন অনুরাগীরা। যদিও এই ঘরে বেশ ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে তাঁদের সম্পর্ক। মাঝে আয়েশা খান মুনাওয়ারের প্রাক্তন প্রেমিকা আসতে আহত হয়েছিলেন মন্নরা। যদিও শেষমেশ মিটমাট হয় দু’জনের। ফের ‘মুন্নরা’ জুটি ম্যাজিক দেখতে পাচ্ছেন দর্শক এর মাঝে বিস্ফোরক দাবি করলেন ডোংরির ছেলে মুনাওয়ার।
মঙ্গলবারই ভোটে আউট হয়ে যান অঙ্কিতা লোখান্ডের স্বামী ভিকি। সেরা পাঁচে পৌঁছেছেন অঙ্কিতা, ভিকি, অরুণ, মন্নরা ও অভিষেক। এ বার ফাইনালে উঠতেই মন্নরাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মুনাওয়ার। জানালেন দীপাবলির রাতে তাঁকে চুমু দিয়েছেন মন্নরা। অঙ্কিতার কাছেই মন্নরাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন মুনাওয়ার।
এত দিন কথা বন্ধ ছিল মুনাওয়ার ও অঙ্কিতার। তবে ভিকি শো থেকে বেরোতেই দু’জনের মধ্যে দূরত্ব কমেছে। আবার একে-অপরের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন। আর তার পরেই অঙ্কিতার কাছে মান্নারা-কে নিয়ে এমন মন্তব্য করে বসেন। মুনাওয়ার জানান, মন্নরা তাঁকে চুমু খেয়েছেন। কথাটা বলার সময় মুনাওয়ার হাত দিয়ে চুমু খাওয়ার ইঙ্গিত করে দেখান গালের দিকে। অঙ্কিতা যদিও বাধা দিয়ে জানান যে, তিনি এ রকম কিছুই দেখেনি। পাল্টা মুনাওয়ার জানান, এত দিন তিনি কাউকে জানাননি।
মনুওয়ার বলেন, ‘‘আমি খুব অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলাম। বরাবরই চেষ্টা করে এসেছি আমি যাতে দু’জনের মধ্যে একটা সীমারেখা বজায় থাকে। আমি এই নিয়ে ওর সঙ্গে কথা বলতে চাইনি কেন, ওকে আর অপ্রস্তুত করতে চাইনি।’’ মুনওয়ার যখন এমন দাবি করছেন তাঁকে নিয়ে, মন্নরা কিন্তু সবসময় মুনাওয়ারকে কেবলই বন্ধু বলে দাবি করে এসেছেন।