সাজিদ জানান, বাবার মৃত্যুর পর সালিম এসে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন হাতে। তাই দিয়ে দু’মাস খাবার কেনেন আর বিদ্যুতের বিল মেটান তিনি। ফাইল চিত্র
জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস ১৬’-র নতুন পর্বে আরও নাটকীয় মোড়। সাজিদ খানের সঙ্গে এ বার বচসায় জড়ালেন অর্চনা গৌতম। ‘কাক পড়ে কি চিল পড়ে’ অবস্থা রিয়্যালিটি শোয়ের সেটে। শুধু তা-ই নয়, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করতে করতে বাবা-মাকেও টেনে আনলেন দুই প্রতিযোগী। অর্চনা যখন সাজিদের বাবার নাম নেন, সাজিদও ধৈর্য হারান। গলার স্বর আরও চড়ে। বাধ্য হয়ে চিকিৎসার কক্ষে যেতে বলা হয় সাজিদকে। এর পর সাজিদও বেঁকে বসেন। ‘বিগ বস’ সঞ্চালক সলমন খানকে ডাকতে চান। সাফ জানান, স্বীকারোক্তি না মিললে তিনি খাবেন না। সবাই তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও এক কণাও দাঁতে কাটেন না তিনি।
এর পরে সাজিদ কাঁদতে শুরু করেন। বাবার কথা বলতে থাকেন। ভাগ করে নেন যন্ত্রণার অতীত। তাঁর কথায়, “বাবা যখন চলে গিয়েছিল, আমার ১৪ বছর বয়স। আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর্থিক সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু আমায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরকে দিয়ে বলে পাঠিয়েছে, তারা বাড়ি নেই। আমি চলে এসেছি কাঁদতে কাঁদতে, কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমার মায়ের তরফের আত্মীয়রা সাহায্য করেছিল। তাতেই শেষবিদায় দিতে পেরেছিলাম বাবাকে।”
সাজিদ আরও বলেন, “চোখের সামনে বাবাকে শেষ হয়ে যেতে দেখেছি অতিরিক্ত মদ খাওয়ার জন্য। যকৃৎ ফেটে গিয়েছিল বাবার। চোখ-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছিল। যিনি একমাত্র সে সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি সলমন খানের বাবা, সালিম।”
সাজিদ জানান, সালিম এসে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন হাতে। তাই দিয়ে দু’মাস খাবার কেনেন আর বিদ্যুতের বিল মেটান তিনি।
বুধবার সাজিদের অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন অন্যান্য ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী। শিব, নিমরীত সকলে মিলে তাঁকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু কিছুতেই কোনও খাবার খাননি সাজিদ।