নচিকেতা চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক।
ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ইন্টারনেট পরিষেবা আপাতত বন্ধ। বিশ্বের সঙ্গে তাই যোগাযোগও প্রায় ছিন্ন। আন্দোলনের শুরুতে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সমাজমাধ্যমে নিজেদের মতামত জানিয়েছিলেন সেখানকার অভিনেতা ও পরিচালকেরা। ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় সে সবও স্তব্ধ। এ-ও শোনা গিয়েছে, দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মুখ খুলতে নাকি নিষেধ করা হয়েছে তাঁদের। এমন পরিস্থিতিতে পড়শি দেশে যেতে চাইছেন নচিকেতা চক্রবর্তী।
আনন্দবাজার অনলাইনকেই প্রথম এই কথা জানালেন তিনি। কিন্তু এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কেন ও পার বাংলায় যেতে চাইছেন শিল্পী? ইতিমধ্যেই শহর কলকাতায় বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন জানিয়ে একাধিক সমাবেশ, জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই রকম কোনও ভাবনা থেকেই কি তিনি যেতে চাইছেন? প্রশ্নের উত্তরে গায়ক বললেন, “গানের অনুষ্ঠানের জন্য ও পার বাংলায় প্রায়ই যাই আমি। বাংলাদেশের মানুষ আমার গান ভালবাসেন। ২৬ জুলাই তেমনই একটি অনুষ্ঠানের কথা অনেক দিন ধরেই ঠিক হয়ে রয়েছে। সেটার জন্যই যাব।” এ-ও জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই পরিস্থিতিতে গায়ককে বাংলাদেশে যেতে নিষেধ করেছেন। তাঁর কড়া শাসন, “ওখানে পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যথেষ্ট জটিল। তাই এখন অনুষ্ঠান করতে যেতে হবে না।”
নচিকেতা কি মুখ্যমন্ত্রীর শাসন মানবেন? প্রশ্নের জবাবে নচিকেতা বললেন, “আমি শিল্পী। গান গাওয়া আমার পেশা এবং রুজিরুটি। তার উপরে কথা দেওয়া আছে। তাই আমি যাব।” কিন্তু আদৌ কি এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে? গায়কের মতে, ২৩ জুলাই, মঙ্গলবার ছাত্রলীগের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনায় বসার কথা। আলোচনা ইতিবাচক হলে নিশ্চয়ই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তখন আর অনুষ্ঠানে বাধা থাকবে না। তিনিও যেতে পারবেন। আপাতত মন থেকে এটাই চাইছেন নচিকেতা চক্রবর্তী।