Tollywood Actress

টিআরপি মাতাচ্ছে ‘ফুলকি’রা, নতুনদের দেখে কী বলছেন এককালের পয়লা নম্বরের ‘শ্যামা’-‘মোহর’রা?

কিছু বছর আগে টিআরপি তালিকায় এক নম্বরে দেখা যেত ‘কৃষ্ণকলি’র শ্যামা এবং ‘মোহর’ সিরিয়ালের মোহরদের। এখন তাঁরা অনেকটাই পিছিয়ে। খারাপ লাগে তাঁদের?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ১৭:২০
Share:

(বাঁ দিকে) তিয়াসা লেপচা, সোনামণি সাহা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

জীবনে চড়াই-উতরাই থাকবেই, এটাই তাঁদের বিশ্বাস। এক সময়ের ছোট পর্দায় তাঁদেরই রাজত্ব দেখেছিল দর্শক। সময় এগিয়েছে, পুরনো সিরিয়াল শেষ হয়ে নতুনরা এসেছে। পর্দায় এখন নতুন নতুন নায়িকার ভিড়। পুরনো অভিনত্রীদেরও সিরিয়াল চলছে। কিন্তু এক সময় পয়লা নম্বরে থাকা নায়িকারা এখন টিআরপি তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে। এই মুহূর্তে প্রথম পাঁচের মধ্যে দেখা যায় ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘ফুলকি’, ‘জগদ্ধাত্রী’-দের। প্রতিটি সিরিয়ালের নায়িকাই এই ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। বয়সেও ছোট, অনেকের তো আবার পড়াশোনাও শেষ হয়নি। এমন সময় কোথায় গেলেন মোহর, শ্যামারা?

Advertisement

এক সময় ‘মোহর’ সিরিয়ালটি দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকতে‌ন দর্শক। বিশেষত মোহর আর শঙ্খের সমীকরণ নজর কেড়েছিল দর্শকের। অন্য দিকে শ্যামা, নিখিলের সমীকরণ এখনও অনুরাগীদের মনে টাটকা। বর্তমানে অবশ্য দুই জুটিকেই নতুন ভাবে দেখছেন দর্শক। মোহর হয়ে গিয়েছে রাধিকা। আর শ্যামা হয়ে গিয়েছে ইন্দিরা। তবে ফুলকি, জগদ্ধাত্রীদের যুগে ইন্দিরা, রাধিকাদের হদিস মেলা কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিআরপি তালিকায় খুঁজলে পাওয়া যায় না তাঁদের সিরিয়াল ‘এক্কা দোক্কা’ এবং ‘বাংলা মিডিয়াম’-কে। তা-ও ইদানীং তিয়াসা লেপচা অভিনীত সিরিয়াল ‘বাংলা মিডিয়াম’-কে দেখা যাচ্ছে প্রথম দশে। এক সময় পয়লা নম্বরে থেকে এখন তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে। খারাপ লাগে নায়িকাদের?

আনন্দবাজার অনলাইনকে রাধিকা ওরফে সোনামণি সাহা বললেন, “টিআরপি কিছুটা গুরুত্ব পায় নিশ্চয়ই। কিন্তু অনেক সিরিয়ালের টিআরপি থাকলেও চর্চা হয় না। আমার ক্ষেত্রে, ‘মোহর’-এর সময়ও আলোচনা হত। এখন টিআরপি কম থাকলেও আমাদের নিয়ে চর্চা হয়। মানুষের ভালবাসা কমেনি। অনেক প্রথম সারির সিরিয়ালের থেকেও জনপ্রিয়তা বিচারে আমরা এগিয়ে। সে দিক থেকে আমি খুশি।”

Advertisement

ইন্দিরা অর্থাৎ তিয়াসার কণ্ঠেও একই সুর। তিনি বললেন, “আমার মনে এ সব নিয়ে কোনও ভাবনাই আসে না। তখনও আমি নিজের ১০০ শতাংশ দিয়ে কাজ করতাম। এখনও সেটাই করি। তখন আমাদের টিআরপি ১৩ অবধি উঠত। এখন অতটা ওঠেও না। সুতরাং এ সব ভেবে লাভ নেই। সময়ের সঙ্গে সব কিছুরই পরিবর্তন হয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement