‘রাঙামতি তীরন্দাজ’ ধারাবাহিকের একটি দৃশ্যে (বাঁ দিকে) শুভঙ্কর সাহা এবং মনীষা মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত।
অল্প সময়ের মধ্যেই টিআরপি তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে রাঙামতি এবং উড়নবাবুর গল্প। ‘রাঙামতি তীরন্দাজ’ ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো জানান দিচ্ছে, রাঙামতির সামনে এখন একাধিক বিপদ। আগামী কয়েকটি পর্বে দর্শকের জন্য থাকছে একাধিক চমক। রাঙামতি ওরফে মনীষা মণ্ডল তাই স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত।
ধারাবাহিকের আগামী কয়েকটি পর্বে থাকছে একাধিক চমক। সেই মতো এপিসোডের শুটিং চলছে টালিগঞ্জের ১৩ নম্বর স্টুডিয়োয়। শনিবার থেকে প্রায় সারা দিনই মনীষা শুটিং ফ্লোরে। তার মাঝেই ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো ঘিরে দর্শকের উত্তেজনা তিনি টের পাচ্ছেন। উন্নত ভিএফএক্সের ব্যবহার প্রোমোর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন মনীষা। বললেন, “অল্প সময়ের মধ্যেই খুব ভাল প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমার পরিচিত অনেকেই মেসেজ করেছেন।”
গল্প অনুযায়ী, কোচ হিসেবে ধ্রুব রাঙামতিকে একটি নেকলেস চুরিতে ব্যবহার করতে চায়। স্বামী একলব্যেরও বিপদে, রাঙামতি কী ভাবে তার পাশে এসে দাঁড়ায়, আগামী কয়েকটি পর্বে তারই উত্তর পাবেন দর্শক। রাঙামতি চরিত্রটি প্রসঙ্গে মনীষা বললেন, “এক দিকে ও লড়াই করতে ভয় পায় না। পাশাপাশি, ও খুবই সরল মনের মানুষ। চরিত্রটার এই দুটো দিক আমাকে খুব আকর্ষণ করে। আশা করছি, আগামী দিনেও দর্শক আমার পাশে থাকবেন।”
বাংলা ধারাবাহিকে তিরন্দাজি নতুন চমক। তাই শুরু থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন মনীষা। রাঙামতি চরিত্রের জন্য এক সময় তিরন্দাজি শিখতে হয়েছে তাঁকে। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে এখনও নিজেকে ফিট রাখছেন অভিনেত্রী। বললেন, “প্রোমো শুটিংয়ের আগে পুরুলিয়া থেকে একজন কোচ এসে আমাকে নিয়মিত আর্চারি শেখাতেন। তবে এখন আর আলাদা করে তালিম নিতে হয় না।” কারণ মনীষার মতে, পেশাদার তিরন্দাজি সেট ব্যবহার করে শুটিং করতে হলে নিজেকে ফিট রাখতেই হয়। মনীষা জানালেন, চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি ব্যায়ামের অভ্যাস ত্যাগ করেননি। তাঁর কথায়, “কোচের থেকে নিজেকে ফিট রাখার জন্য কিছু ব্যায়াম শিখে নিয়েছিলাম। এখনও সেগুলো সময় পেলেই অভ্যাস করি।”
প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি মেয়ে অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে মেডেল জেতার স্বপ্ন দেখে— এই ভাবনা থেকেই শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটি। রাঙামতি আগামী দিনে কী ভাবে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে, তার উত্তর দেবে ধারাবাহিক।