Debdut Ghosh on Chandan Sen

চর্চায় চন্দন, আপ্লুত তিনি, টলিপাড়ায় যোগ্য অভিনেতার কি কদর নেই? প্রশ্ন তুললেন দেবদূত

চন্দন সেনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেবদূত ঘোষ। কী জানালেন অভিনেতা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:২২
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘মানিকবাবুর মেঘ’। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে চন্দন সেনের অভিনয় দর্শক ও সমালোচক মহলে প্রশংসা কুড়োচ্ছে। দীর্ঘ দিন পর চন্দনকে নিয়ে চর্চায় খুশি টলিপাড়ার আর এক অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। একই সঙ্গে টলিপাড়া প্রসঙ্গে তাঁর হতাশার কথাও ব্যক্ত করলেন তিনি।

Advertisement

চন্দন প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন দেবদূত। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘এই যে চন্দন সেনের মতো মানুষের একটু নাম হচ্ছে, এতে আমার ভারি আনন্দ! সারা জীবনে এত অযোগ্য মানুষের পাতা ভরা ইন্টারভিউ দেখেছি... ক্লান্ত লাগে। চন্দনদার কাজ... ফুরফুরে বাতাস।’’

অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই চন্দনের কাজ দেখে বড় হয়েছেন দেবদূত। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে দেবদূত বললেন, ‘‘চন্দনদা দীর্ঘ দিন ধরেই ভাল কাজ করছেন। মনে আছে, রমাপ্রসাদ বণিকের নির্দেশনায় ‘টেম্পেস্ট’ নাটকে প্রসপেরোর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চন্দনদা। তখন তাঁর মাত্র ২৫ বছর বয়স! অসাধারণ অভিনয়।’’

Advertisement

দেবদূতের মতে, শুধু অভিনয় করলেই হবে না, চরিত্রটিকে একটি ধরনে তৈরি করতে পারেন একমাত্র যোগ্য অভিনেতাই। তাঁর কথায়, ‘‘ছোট থেকে বড় পর্দা, চন্দনদা সেটা করতে পেরেছেন।’’ প্রায়শই বাংলা বিনোদন জগতে ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা হয় বলেই মনে করছেন দেবদূত। তা হলে তাঁর কাছে যোগ্য কারা? দেবদূত বললেন, ‘‘অপুদাকে (শাশ্বত) নিয়ে এখন চর্চা হয়। আগে তো হয়নি! খরাজদা (খরাজ মুখোপাধ্যায়), রনিদা (রজতাভ দত্ত), শান্তিদা (শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়)-দের আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাঁদের থেকে এখনও শিখি। তাঁরা কিন্তু সেই ভাবে আলোচনায় আসেননি।’’

নিজের পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন দেবদূত। তার মানে কি টলিপাড়ায় ভাল অভিনেতাদের কদর নেই? অভিনেতার উত্তর, ‘‘যেটা উচিত, সেটা কেন করা হয়নি বা হচ্ছে না বা তাঁদের নিয়ে কেন আলোচনা হয় না, সেটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল। তবে চন্দনদা বা দেবেশ রায়চৌধুরী আমার কাছে বাংলার কোনও সুপারস্টারের থেকে কম নন।’’

এই মুহূর্তে দর্শক দেবদূতকে নিয়মিত ধারাবাহিকে দেখছেন। পাশাপাশি, তাঁর নাটকের ব্যস্ততাও রয়েছে। দেবদূত এখনও ‘মানিকবাবুর মেঘ’ দেখেননি। বললেন, ‘‘গতকালই চন্দনদা আমাকে ফোন করেছিলেন। আগামিকাল হয়তো ছবিটা দেখব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement