(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে নতুন ছবি, অন্য দিকে নির্বাচনী প্রচার। ঠাসা কর্মসূচির মধ্যে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। অভিনয় এবং রাজনীতি— দুই দিক উঠে এল আলোচনায়।
বাণিজ্যিক ছবি না অন্য ধারার ছবি? বর্তমানে এই আলোচনা যখন তুঙ্গে, বাণিজ্যিক ছবির দিকেই ঝুঁকলেন প্রবীণ অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, বাণিজ্যিক ছবি থেকে লাভের অঙ্ক তুলে সেই টাকায় অন্য ধারার ছবি বানানো উচিত। মোদ্দা কথা, ইন্ডাস্ট্রির শিরদাঁড়া সোজা রাখতে বাণিজ্যিক ছবির প্রয়োজন। অভিনেতা নিজেও দু’ধরনের ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থানের সামগ্রিক কৃতিত্ব টেলিপাড়াকেই দিচ্ছেন চিরঞ্জিৎ। “বাংলা ধারাবাহিক না থাকলে ইন্ডাস্ট্রি মরে যেত। ধারাবাহিক আছে বলে ইন্ডাস্ট্রি ধুঁকছে।” তিনি মনে করেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ছাড়া এই মুহূর্তে কোনও তারকা নেই ইন্ডাস্ট্রিতে। তাঁর কথায়, “প্রত্যেক অভিনেত্রী কোনও না কোনও সময় ‘ড্রামা’ করে থাকেন।”
সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের নাম শিরোনামে এসেছে বার বার। অভিনেতাকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “শেখ শাহজাহান সিস্টেমের এক জন অপরাধী।” রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বারাসতে একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। স্বপ্নের প্রকল্পের নাম ভেবেছেন, ‘সুনন্দন’। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তারকা বিধায়কের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার প্রিয় নেত্রী। তাঁকে বার বার অনুরোধ জানিয়েছি। তবে এখনও কোনও সদিচ্ছা প্রকাশ করা হয়নি সরকারের তরফে।”
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর কাছে ভাইয়ের মতো। বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে কোন উপাধি দেবেন? অভিনেতার সহাস্য উক্তি, “আমার খলনায়ক।” ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা। পর্দার বাইরে অভিনেতার বন্ধুসংখ্যা সীমিত। তাঁর কথায়, “সবাই অহংকারী, কিন্তু কেউ প্রকাশ করেন না।” অভিনয় ও রাজনীতির বাইরে নিয়মিত যোগাভ্যাস, গান গাওয়া, ছবি আঁকার মাধ্যমে জীবনের সুতোয় বেঁধে ফেলেছেন নিজেকে। সময় পেলে মজে যাচ্ছেন আইপিএলে।
চিরঞ্জিৎ দাবা খেলতে ভালবাসেন? বললেন, “দাবা খেলায় আমি খুব একটা দক্ষ নই। তবে ‘দাবাড়ু’ ছবিতে খুব ভাল অভিজ্ঞতা হল। দাবাড়ুদের আমার ‘জিনিয়াস’ মনে হয়। ছোট্ট সাদা-কালো ছকের দিকে তাকিয়ে থেকে মাত করে দেয়! এই মাত করে দেওয়ার ব্যাপারটা সাংঘাতিক।”