বিয়ের আগেই খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালা। ছবি: সংগৃহীত।
আদরের মেয়ে চলে যাবে শ্বশুরবা়ড়ি। তার আগে তাঁকে আশীর্বাদ করতে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে বাড়িতে। তেলুগু রীতি মেনে এই আচারের নাম ‘পেল্লি কুথুরু’। সোমবার দুপুরে নিজের ইনস্টাগ্রামে রঙিন মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিলেন শোভিতা ধুলিপালা।
বুধবার, ৪ ডিসেম্বর দক্ষিণী অভিনেতা নাগা চৈতন্যর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন শোভিতা। কিন্তু বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। জানা গিয়েছে, শোভিতার পরিবারের রীতি মেনেই বিয়ে হবে তারকা যুগলের। তাই এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সবই শোভিতার পরিবারের।
পরিবারের আশীর্বাদ নিয়েই নতুন জীবন শুরু করতে চান নাগা-শোভিতা। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার সকালে শোভিতা ভাগ করে নিয়েছেন ১০টি ছবি। সেখানে লাল চওড়া পাড়ের ঐতিহ্যবাহী রেশম শাড়ি আর হাত ঢাকা ব্লাউজ়ে উজ্জ্বল রূপে ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। গুরুজনেরা আশীর্বাদ করেছেন তাঁকে। কপালে পরিয়ে দিয়েছেন চন্দন। হাতে তুলে দিয়েছেন এক ঝুড়ি লাল রেশমি চুড়ি। হলুদ, চন্দন এবং অন্য ভেষজের মিশ্রণ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কনের পায়ে। এ সব রীতি যে দারুণ উপভোগ করছেন শোভিতা, তা বোঝাই যাচ্ছে তাঁর ছবি দেখে। পরিবারের সঙ্গে ছবি তুলেছেন একের পর এক।
এর আগে অক্টোবর মাসে শোভিতার পরিবার আয়োজন করেছিল ‘গোডুমা রায়ি পাসুপু দঞ্চদাম’ অনুষ্ঠানের। অনেকটা বাঙালির ‘হলুদ কোটা’ অনুষ্ঠানের মতো এই আচার। পরিবারের সকলে মিলে হলুদ ও অন্য ভেষজ গুঁড়ো করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের আদরের মেয়ে, হবু কনে। এটি নাকি বিবাহ উৎসব শুরুর ইঙ্গিত বহন করে। সম্প্রতি ‘রাতা স্থাপনা’ এবং ‘মঙ্গলস্নানম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হয়তো এর পর মেহেন্দি অনুষ্ঠানও করা হবে। আপাতত অপেক্ষায় অনুরাগীরা।
নাগা-শোভিতা আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিয়েটা করতে চান একেবারে একান্তে। পারিবারিক রীতিনীতি মেনে এই মিলন উৎসবে শামিল হবেন তাঁরা। এক সময় খবর রটেছিল অভিনেত্রী নয়নতারার মতো বিয়ের ভিডিয়ো স্বত্ব নাকি তাঁরা বিক্রি করে দেবেন কোনও ওটিটি মাধ্যমকে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিয়েছেন নাগা নিজেই।
মনে করা হচ্ছে, নাগার ঠাকুরদা আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাওয়ের তৈরি করা অন্নপূর্ণা স্টুডিয়োয় বিবাহবাসর বসবে। পরিবারের সব গুরুজনের আশীর্বাদ চান দম্পতি।