বিবাহ অনুষ্ঠানে (বাঁ দিকে) দিদি শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে সামান্থা ধুলিপালা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ছিলেন স্ত্রী, হবেন শ্যালিকা— সামান্থা। চার বছরের দাম্পত্যের পর সামান্থা রুথ প্রভুর কাছে বিদায় চেয়েছিলেন দক্ষিণী নায়ক নাগা চৈতন্য। শোনা গিয়েছিল সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশের কারণে সম্পর্ক ভেঙে গেল নাগা-সামান্থার। সেই তৃতীয় ব্যক্তি যে আর এক অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালা সে কথা নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন নাগা চৈতন্য। প্রাথমিক ভাবে স্বীকার না করলেও পরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, বিবাহিত সম্পর্কে থাকার সময়ই শোভিতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আদতে তিনি ঠকিয়েছিলেন সামান্থাকে।
কিন্তু, ‘বিধির খেলা কে বুঝিতে পারে’! ঘটনাচক্রে শোভিতার বোনের নাম সামান্থা। তবে তাঁর পেশা একেবারেই আলাদা। রুপোলি দুনিয়ার বাইরে থাকেন বলেই এত দিন এই কাকতালীয় বিষয়টি নজরে পড়েনি কারও। তবে, সম্প্রতি নাগা-শোভিতার ‘রাত স্থাপনা’ এবং ‘মঙ্গলস্নানম’ অনুষ্ঠানের ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করেই সকলের নজর কেড়েছেন সামান্থা ধুলিপালা। পারিবারিক ছবি, যেখানে গায়ে হলুদ ও স্নান পর্বের আচার অনুষ্ঠানে দেখি গিয়েছে শোভিতাকে। সেখানেই কখনও সামান্থা দিদির কপালে হলুদ লাগিয়ে দিয়েছেন, কখনও দিদি তাঁর মুখে। আদরে মাখামাখি সে ছবি সামান্থাই দিদির সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। তাই নাম সেখানে ‘ডক্টর সামান্থাডি’।
জানা গিয়েছে, সামান্থা পেশায় চিকিৎসক। পুণের ডিওয়াই পাতিল মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল এবং রিসার্চ সেন্টার থেকে রেডিওলজিতে স্নাতকোত্তর করেছেন মেডিসিন এবং সার্জারিতে। বর্তমানে নয়া দিল্লির এক হাসপাতালে রেডিয়োলজি বিভাগে উপদেষ্টা পদে কর্মরত।
সমাজমাধ্যমেও সামান্থা বেশ সক্রিয়। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসরণকারীর সংখ্যা ২১ হাজারেরও বেশি। সামান্থার স্বামী সাহিল গুপ্তাও একজন চিকিৎসক। প্রায়ই নিজেদের ছবি ভাগ করে নেন সামান্থা।