Kolkata Doctor Rape-Murder Case

মুম্বইয়ে রাতের দখলদারিতে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নীরবতা, যোগ দিলেন বৌদ্ধায়ন-তুহিনা

লোখান্ডওয়ালায় জমায়েত হয়েছে মানুষের। যেহেতু স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত, তাই জমায়েতের জন্য দেড় ঘণ্টার বেশি সময় পাওয়া যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৪ ০১:৩০
Share:

তুহিনা দাস ও বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

রাতের রাজপথ মেয়েদের দখলে। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ভিড় জমেছে যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট, শ্যামবাজার-সহ গোটা বাংলায়। তবে রাজ্যের বাইরেও এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর রেশ পৌঁছেছে। রাত জাগছে মুম্বই শহরের কিছু এলাকা। লোখন্ডওয়ালায় জমায়েত হয়েছে মানুষের। তবে যেহেতু স্বাধীনতা দিবসের আগের রাত, তাই জমায়েতের জন্য দেড় ঘণ্টার বেশি সময় পাওয়া যায়নি, আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন পরিচালক বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

বৌদ্ধায়ন বলেন, “ঘণ্টা দেড়েকের জন্য লোখন্ডওয়ালায় অনুমতি পেয়েছিলাম আমরা। প্রথমে অন্য একটি এলাকায় জমায়েতের কথা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তা হতে দেয়নি। একটা মিছিল বেরোনোরও কথা ছিল। কিন্তু সেটাও পুলিশ হতে দেয়নি। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। তাই এখানকার পুলিশকর্মীরা এমনিতেই নিরাপত্তা নিয়ে চাপে রয়েছেন। যে মিছিল হওয়ার কথা ছিল তা তিনটি থানার আওতায় পড়ে। তাই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে জমায়েত করতে বলেন। তবে প্রথমেই পুলিশের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়, কোনও রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া যাবে না।”

লোখন্ডওয়ালাতে রাত দখলের জমায়েত।

পরিচালক আরও জানান, “জমায়েত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ে। কেউ কেউ বক্তব্য রাখেন। কমলিকা গুহঠাকুরতা কথা বললেন। বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে মানুষ এসেছেন। শুধুই মহিলাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এমন নয়। বহু পুরুষও ছিলেন। অধিকাংশই বাঙালি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও ছিলেন কয়েকজন। তবে নীরব প্রতিবাদ হলেও আবহাওয়া ছিল ভারাক্রান্ত। এই প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়েরা জড়ো হয়েছিলেন আরব সাগরের তীরে। জমায়েতের শেষের দিকে সকলে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গাওয়া হয়। একেবারে শেষে নির্যাতিতার জন্য নীরবতা পালন করা হয়। সকলে একসঙ্গে শোক পালন করার মধ্যেই এক হয়ে যাওয়া রয়েছে।”

Advertisement

লোখন্ডওয়ালার জমায়েতের শামিল ছিলেন বাংলার অভিনেত্রী তুহিনা দাসও। সেখানকার প্রতিবাদের চিত্রটাও এক রকম বলে জানান তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তুহিনা বলেন, “এই জমায়েতের মধ্যে দাঁড়িয়ে এক অদ্ভুত শূন্যতা কাজ করছিল। কেউ কাঁদছিলেন, কেউ ‘বিচার চাই’ বলে স্লোগান তুলছিলেন। আমরা সত্যিই জানি না কী করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে পথে নেমে বিচারের জন্য চেঁচাতে হচ্ছে আমাদের। কী ভাবে পরিবর্তন আনব বুঝতে পারছি না। প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তার প্রয়োজন। তবে আজ কলকাতার কথা খুব মনে পড়ছিল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement