‘বিয়ে একটা পবিত্র প্রথা। অনুগ্রহ করে বেফাঁস মন্তব্য করে এর পবিত্রতা নষ্ট করবেন না,’ ফেসবুকে লিখলেন নোবেল।
১১ সেপ্টেম্বর স্ত্রী সালসাবিল তাঁকে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশের গায়ক তথা জি বাংলা ‘সারেগামাপা’-খ্যাত মইনুল আহসান নোবেল একাধিক নারীতে আসক্ত। শারীরিক নির্যাতন এবং মাত্রাতিরিক্ত নেশাসক্তির অভিযোগও সেই সঙ্গে ছিল। নোবেল আঙুল তুলেছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত গায়ক জেমসের দিকে। তাঁর দাবি, খ্যাতনামা গায়ক তাঁর স্ত্রীকে ব্যবহার করছেন! ফেসবুকেও ‘ডিভোর্স’ কথাটিও পোস্ট করেন তিনি। চর্চার শিরোনামে গায়কের টালমাটাল দাম্পত্য। রবিবার রাতে তিনি পাত্রীর খোঁজও করেছিলেন।
টানটান বিতর্কের একটি দিন পার। আচমকাই ভোলবদল নোবেলের। সোমবার তিনিই নতুন পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে। লিখেছেন, ‘বিয়ে একটা পবিত্র প্রথা। অনুগ্রহ করে বেফাঁস মন্তব্য করে এর পবিত্রতা নষ্ট করবেন না।’ তাঁর দাবি, ‘আমার এবং আমার স্ত্রীর মধ্যেকার সকল বিবাদ পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করা হচ্ছে।’ গত কয়েক দিন ধরে প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির জন্যও আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চান তিনি। নোবেলের এ হেন পরিবর্তনে বিস্মিত অনুরাগীরাও। কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, পারিবারিক সমস্যা পাঁচকান না করাই ভাল। যখনই তা প্রকাশ্যে আসে, তখনই আর তা ব্যক্তিগত থাকে না। কারওর দাবি, বৌকে শারীরিক নিগ্রহ করলেই পৌরুষ প্রমাণিত হয় না।
বিতর্কিত আচরণের জন্য বরাবরই চর্চিত নোবেল। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন কম সমালোচিত নয়। অগস্টেই তাঁর পোস্ট করা একটি ছবি সবার নিন্দা কুড়িয়েছিল। ছবিতে জঙ্গুলে নদীর উপর একটি পাথরে বসে ছিলেন নোবেল এবং তাঁর সঙ্গিনী। নোবেলের হাতে গাঁজার কলকে। ক্যাপশনে লিখেছিলেন সে দেশের জনপ্রিয় এক গানের কলি, ‘গাঁজার নৌকা পাহাড়তলি যায়, ও মিরাবাই'। খবর, বান্দরবানে যাওয়ার আগে থেকেই নাকি বেসামাল ছিলেন নোবেল। অভিযোগ, রাতের বেলা গায়ক হোটেলের আবাসিকদের মারধর করেন। পাশাপাশি, বিয়ের প্রথম পর্ব স্বাভাবিক থাকলেও সেখানেও ছন্দপতন কিছুদিন আগে। অনুরাগীদের আশা, নিজের ভুল হয়তো উপলব্ধি করতে পেরেছেন নোবেল। কিংবা সবার কটাক্ষে ক্লান্ত তিনি। তাই অতীতের সমস্ত গ্লানি মুছে আরও এক বার নতুন ভাবে জীবন শুরুর কথা জানিয়েছেন শিল্পী।