হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ছবি: সংগৃহীত।
ফের ও পার বাংলায় নক্ষত্রপতন। মঙ্গলবার অভিনেত্রী রাফিয়াত রাশিদ মিথিলা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান, বাংলাদেশের প্রথম সারির গায়ক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল প্রয়াত। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র খবর অনুযায়ী, এ দিন সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স ৫৬ বছর। এক মেয়ে এবং স্ত্রীকে রেখে গিয়েছেন তিনি। প্রয়াত গায়ক ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে প্রতি মুহূর্তে লড়াই করেছেন মারণরোগের সঙ্গে। দেশে এবং দেশের বাইরেও তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। পড়শি দেশে জুয়েলের পরিচয়, তিনি শুধুই গায়ক নন, পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় উপস্থাপক, ছোট পর্দার অনুষ্ঠান নির্মাতা।
জুয়েলের পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১-য় তাঁর যকৃতে ক্যানসার ধরা পড়ে। সেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুস, হাড়েও। গত অক্টোবর থেকে তিনি প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ছিলেন। সম্প্রতি, তাঁকে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। আচমকাই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁকে হাসপাতালেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এক সপ্তাহ সে ভাবেই লড়াই চালানোর পর প্রয়াত হন তিনি।
১৯৬৮-র ২৯ সেপ্টেম্বর জন্ম হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের। মা-বাবার অনুপ্রেরণায় গানের দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই গান শিখতে শুরু করেন। প্রথম মঞ্চে গেয়েছিলেন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন। জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। তার পর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের ‘মাইলস’ ব্যান্ডের গায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গায়ক শাফিন আহমেদ আমেরিকায় প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর পরেই জুয়েলের মৃত্যুতে শোকাহত দু’বাংলার সঙ্গীতপ্রেমীরা।