এ বার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করবেন অপু বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
দু’দশকের বেশি অভিনয় জীবন তাঁর। এক সময় শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক ছবি করেছেন। যদিও সন্তানের জন্মের পর সিনেমার কাজ কমিয়ে দিয়েছেন অপু বিশ্বাস। সদ্য নিজের রেস্তরাঁ এবং সালোঁর ব্যবসায় মন দিয়েছেন তিনি। এর মাঝেই নতুন খবর, সলমন হায়দার পরিচালিত ছবিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। সিনেমার গল্প শুনেই একবাক্যে রাজি হয়ে যান তিনি। ছবিটির এখনও পর্যন্ত দু’টি নাম ভেবেছেন পরিচালক। একটি ‘শেখ রাসেলের আর্তনাদ’, অন্যটি ‘আমি মায়ের কাছে যাব’। সিনেমাটিতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য শেখ রাসেলের গল্প উঠে আসবে। এতে অপুর চরিত্রের নাম ‘হাসু’। এই ছবিতে হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করতে কত টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন অপু?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আবার দায়িত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর তার পরই হয়েছে এই ছবির ঘোষণা। এই ছবির জন্য মোটে ১০০ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়) পারিশ্রমিক নিচ্ছেন অভিনেত্রী। পরিচালক সলমন হায়দার বলেন, ‘‘২০১৯ সাল থেকে সিনেমাটি নির্মাণের পরিকল্পনা। এতে শেখ রাসেলের দৃষ্টিকোণ থেকে গল্পটা বলার চেষ্টা করব। তবে প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। সব চরিত্রের শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে চেহারার সাদৃশ্য, অভিনয় গুণকে প্রাধান্য দিয়েছি।’’ এই ছবিতে অভিনয় করার জন্য নাকি পারিশ্রমিক নিতে চাননি অপু। শেষমেশ নামমাত্র ১০০ টাকা নিতে সম্মত হয়েছেন তিনি। এই ছবির প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে অপু বলেন, ‘‘সিনেমাটির গল্প শুনে একবাক্যে রাজি হয়ে যাই। ঐতিহাসিক এই সিনেমার অংশ হতে পেরে ভাল লাগছে।’’ আগামী ২২ অগস্ট থেকে শুরু হবে ছবির শুটিং। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ছবি ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’। এই ছবিতে অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়াকে দেখা গিয়েছিল হাসিনার চরিত্রে।
শেখ রাসেল শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট তাঁর বাসভবনে হত্যা করা হয় মুজিব-সহ তাঁর পরিবারের প্রায় সকলকে। তাঁদের মধ্যে শেখ রাসেল অন্যতম। যখন মৃত্যু হয় শেখ রাসেলের, তখন তাঁর বয়স ছিল মোটে ১১ বছর। এ বার শেখ হাসিনার কনিষ্ঠতম ভাইয়ের গল্পই তুলে ধরবেন পরিচালক।