জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুসারে ভারতে হাতি শিকার আইনত দণ্ডনীয় বলে ঘোষণা করা হয়। দু’বছর পর হাতি সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করে বাংলাদেশ সরকারও। কিন্তু তার পরেও সমাজে হাতিকে বিনোদনের স্বার্থে ব্যবহার বন্ধ হয়নি। বিষয়টা ভাবিয়েছিল অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। দিন কয়েক আগে বিষয়টির বিরুদ্ধে ঢাকার হাই কোর্টে একটি আবেদন করেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি জয়ার আবদনে মান্যতা দিয়েছে সে দেশের আদালত।
জয়ার সঙ্গে প্রাণী অধিকার নিয়ে কর্মরত বাংলাদেশের একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থা এই উদ্যোগ নিয়েছিল। আদালতে তাঁদের তরফে যে আপিল করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়, হাতিদের সার্কাসে বা কোনও শোভাযাত্রায় ব্যবহার ছাড়াও কোনও রকম বাণিজ্যিক বা বিনোদনমূলক কাজে ব্যবহার করা যাবে না। রবিবার এই মামলায় রায় দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। ব্যক্তিগত মালিকানায় হাতি রাখার লাইসেন্স বন্ধ করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে জয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মায়ের কোল থেকে হাতিদের কেড়ে নিয়ে এই যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেটা একটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এটা অপরাধ এবং অনৈতিক।’’ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে পিটিশন দাখিল করেন জয়া। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘এর আগে আমরা বন দফতরকে অনেক বার এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হই।’’
আদালতের রায় যে তাঁদের পক্ষে গিয়েছে, তা জানার পর কেমন অনুভূতি জয়ার? অভিনেত্রী বললেন, ‘‘আমি এবং এই উদ্যোগের সঙ্গে যাঁরা জড়িয়ে রয়েছেন, সকলেই খুব খুশি।’’ সূত্রের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রায় ২০০টি হাতি রয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি বন্দিদশায়। জয়ার আশা, খুব দ্রুত হাতিরা তাদের প্রাকৃতিক অবস্থায় ফিরতে পারবে।