তাহসান রহমান খান
তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়ার এক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রচারমুখ হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে চলেছে। এমনটাই জানা গিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এ কথা বলেছেন, সে দেশের ডিএমপি-র রমনা বিভাগের সহ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। আরও খবর, ইতিমধ্যেই তিন তারকা-সহ মোট ন’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই সংস্থার এক গ্রাহক সাদ শ্যাম রহমান।
কী কারণে এই অভিযোগ? অভিযোগকারীর দাবি, সংস্থা আকর্ষণীয় প্রস্তাব, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু সাধারণ মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তিনি ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার একটি দ্বিচক্র যানের অর্ডার দিয়েছিলেন। এখনও যান এবং অর্থ কিছুই ফেরত পাননি। এই সংস্থার প্রচারমুখ হয়ে কাজ করেছেন তাহসান, মিথিলা, ফারিয়া। রহমানের দাবি, সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁরাও এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তাই এঁরাও অপরাধী এবং শাস্তির যোগ্য।
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাহসানের সঙ্গে। অভিযোগ নিয়ে কী বলছেন তিনি? হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় গায়ক স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘আমি শ্যুটের আগেই ফেসবুকের পাতায় সংস্থা সম্পর্কে প্রচুর গ্রাহকের অভিযোগ দেখেছি। ফলে, চুক্তি বাতিল করে শ্যুটে অংশ নিইনি। আমাদের অকারণে হেনস্থা করা হচ্ছে।” গায়কের আরও দাবি, তারকারা কোনও সংস্থার শুধুই প্রচারমুখ। সংস্থা কোন পথে চলবে সেটা দেখা বা জানা তাঁদের কাজ নয়। সেটা সম্ভবও নয়। এত বড় ঘটনার পরেও তাহসান কিন্তু ভেঙে পড়েননি। বরং পূর্ণ আস্থা রেখেছেন দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার উপরে। তাহসান জানেন, তদন্তেই প্রকাশিত হবে আসল সত্য।
পাশাপাশি, মিথ্যে অভিযোগে জড়ানোর জন্য সংস্থার বিরুদ্ধে জনপ্রিয় গায়ক কোনও পদক্ষেপ করবেন কি না, এখনও জানাননি। তাঁর কথায়, তিনি পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত আইনজীবীর উপরে। তিনি যা বলবেন, সেই রাস্তাতেই হাঁটবেন তাহসান।