বিপাকে পরীমণি, জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা। ছবি: সংগৃহীত।
বছর কয়েক আগে মাদক মামলায় জেল হেফাজত হয়েছিল বাংলাদেশের চর্চিত অভিনেত্রী পরীমণির। প্রায় ২৭ দিন কারাবাসে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। গত কয়েক বছর স্বস্তিতেই ছিলেন নায়িকা। এ বার ফের আইনি ঝামেলায় জড়ালেন অভিনেত্রী। বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ পরীমণির বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। একই সঙ্গে আদালত হাজির না থাকায় অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত রবিবার এই আদেশ দেন। একা পরীমণি নন, তাঁর পোশাকশিল্পী বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বোগদাদীর বিরুদ্ধেও।
২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা আদালতে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। নায়িকার বিরুদ্ধে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে স্নানঘর ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে মদ্যপান করেন। রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ক্লাব থেকে বেরোনোর সময় পরীমণি তাঁকে ডেকে একটি মদের বোতল বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় অভিনেত্রী তাঁকে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ। ব্যবসায়ীর দাবি, বচসা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, পরীমণি একটি কাচের গ্লাস ছুড়ে মারেন। তা গিয়ে লাগে নাসিরের মাথায় ও বুকে লাগে। এই ঘটনাকে হত্যার চেষ্টা হিসাবেই দেখছেন ব্যবসায়ী। অভিযোগ হয়েছে সেই মর্মেই।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’কে জানান, রবিবার নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় শুনানি ছিল। পরীমণি তরফে শুনানির জন্য সময় চেয়ে তিনি আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। নীলাঞ্জনা বলেন, “আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।”