আসফাকুল্লা নাইয়ার পর রাজ্য সরকারের নজরে কিঞ্জল নন্দ? গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আসফাকুল্লা নাইয়ার পর এ বার কিঞ্জল নন্দ। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পিজিটি কিঞ্জল সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে চিঠি পাঠাল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। যদিও চিঠির বিষয়ে সরাসরি এখনও কিছুই জানেন না বলে দাবি চিকিৎসক-অভিনেতার। তবে চিঠি পাঠানোর কথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে চাপানউতর।
জানা গিয়েছে, কিঞ্জলের হাজিরা, ভাতা, কাজের সময় ইত্যাদির বিষয়ে স্পষ্ট জানতে চাওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই কিঞ্জল অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালের দায়িত্ব তিনি কী ভাবে পালন করতেন, অভিনয়ের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন কি না, তা-ও জানতে চেয়েছে কাউন্সিল। কিঞ্জল এত কাল যে সমস্ত ছুটি নিয়েছেন, সেখানে পদ্ধতিগত কোনও ত্রুটি রয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে কিঞ্জলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানিয়েছেন, এখনও বিষয়টি তিনি সরাসরি জানেন না। তাঁকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা-চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। তাঁরই সঙ্গে ছিলেন আর এক তরুণ চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া। ইতিমধ্যেই আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে চিঠি পাঠিয়েছে মেডিক্যাল কাউন্সিল। এক ধাপ এগিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আদালত পুলিশের অতিসক্রিয়তার সমালোচনাও করেছে।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে কিঞ্জল বলেন, “ডিউটি সেরে বাড়ি ফিরছি। আচমকা শুনলাম, মেডিক্যাল বোর্ড থেকে অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে আমাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়েছে। সেই চিঠি এখনও আমার হাতে আসেনি।” ফলে, এখনই কী পদক্ষেপ করবেন সে সম্বন্ধেও কিছু ঠিক করে উঠতে পারেননি তিনি। একটা সময় প্রতিবাদের মুখ হয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। সেই কিঞ্জলই প্রতিবাদের মাঝে বিজ্ঞাপনী ছবিতে কাজ করায় নিন্দিত। এই কারণেই কি তিনি নিশানায়? প্রশ্ন রাখতেই অভিনেতা-চিকিৎসকের দাবি, “আসফাকুল্লার পরেই আমার নাম সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। এতে একটুও অবাক হইনি।”