জুহুর ‘জলসা’য় সাধারণের ভিড় ঠেকাতে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ফাইল চিত্র।
করোনায় আক্রান্ত বচ্চন পরিবার। খবর জানাজানি হতেই ঘুম ছুটেছিল বলিউড সহ গোটা দেশের। কী ভাবে সংক্রমিত হলেন অমিতাভ এবং অভিষেক বচ্চন? এই প্রশ্ন তো ছিলই। ছিল আট থেকে আশির একটাই প্রার্থনা, ছেলেকে নিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন শাহেনশা। সবার প্রার্থনা হয়তো সফল হতে চলেছে। নানাবতী হাসপাতাল ও মুম্বই পুরসভা সূত্রে খবর, চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বিগ বি, ছোটা বি। সম্ভবত, দিন কয়েকের মধ্যেই ছাড়া পাবেন তাঁরা।
১২ জুলাইয়ের কথা মনে পড়লে এখনও আতঙ্কে ভোগেন আম আদমি থেকে সেলেব। ওই দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বড়ে মিঞার টুইট, ‘‘কোভিড ১৯ আমার শরীরে বাসা বেঁধেছে, সংক্রমণ ছড়িয়েছে।’’ চোখের পলকে পোস্ট ভাইরাল। বিমূঢ় অনুরাগীদের আর্তি, যেন সুস্থ হয়ে ফেরেন তাঁদের ‘জীবন্ত ঈশ্বর’। এর পরেই আলাদা পোস্টে অভিষেক জানান, তিনিও সংক্রমিত। একে একে সংক্রমণ ধরা পড়ে ঐশ্বর্য, আরাধ্যারও। তাঁদের জ্বর হয়েছিল। অমিতাভ, অভিষেককে আর দেরি না করে এরপর ভর্তি করা হয় নানাবতী হাসপাতালে। সেখান থেকেই জানানো হয়, মৃদু সংক্রমণ ধরা পড়েছে দু’জনের শরীরে। অবস্থা স্থিতিশীল। নানাবতীতে ভর্তি হন অ্যাশ, আরাধ্যাও।
তবে কোভিড মুক্ত জয়া, শ্বেতা, নভ্যা নভেলি, অগ্যস্ত।
১২ থেকে ২২ জুলাই, গত ১০ দিনে নতুন করে স্বাস্থ্যের অবনতি না হওয়ায় অমিত-অভির ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে, বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে জানান মু্ম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকর। সম্ভবত, আজ আরও একবার সোয়াব টেস্ট হবে দু’জনেরই। মুম্বই প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, মুম্বই পুরসভা স্যানিটাইজড করেছে বচ্চন পরিবারের চারটি বাংলো জলসা, ঝলক, প্রতীক্ষা আর বৎস। ইতিমধ্যেই জুহুর ‘জলসা’য় সাধারণের ভিড় ঠেকাতে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বড়া-ছোটা বি ফেরার পরে অবাঞ্ছিত কেউ যাতে জলসায় ঢুকতে না পারে তার জন্য কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করছে মুম্বই পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাঁচ দিন কাজ, দু’দিন লকডাউন, ছুটির আমেজ না অশনি সঙ্কেত টেলি-তারকাদের কাছে?
আরও পড়ুন: হাজার পর্বে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’, সব বয়সেই বাজিমাত দিতিপ্রিয়ার