যে কারণে প্রেম ভাঙে আয়ুষ্মান-তাহিরার। ছবি: সংগৃহীত।
আয়ুষ্মান খুরানার জন্ম চণ্ডীগড়ে। ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক আয়ুষ্মান সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। জীবনের প্রথম বেশ কয়েক বছর থিয়েটারে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের টানেই চণ্ডীগড় থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। ২০০৪ সালে আয়ুষ্মান এমটিভি ‘রোডিজ়’-এর দ্বিতীয় সিজনে জয়ী হন। বরাবরই অভিনয়ের প্রতি ভালাবাসা। সেই কারণেই পাড়ি দেন মুম্বইতে। তবে মায়ানগরীতে এসে প্রথম সাফল্য পেতেই যেন মাথা ঘুরে যায় আয়ুষ্মানের। স্কুলজীবনের প্রেম আয়ুষ্মান ও তাহিরা কাশ্যপের। প্রায় ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। বর্তমানে দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। তবে ‘রোজিজ়’ জিততেই নাকি তাহিরার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন অভিনেতা।
কয়েক বছর সঞ্চালনার পরে অভিনয় শুরু ২০১২ সালে, প্রথম ছবি ‘ভিকি ডোনার’-এই বাজিমাত আয়ুষ্মানের। এর পর ‘দম লাগাকে হাইসা’, ‘বরেলি কি বরফি’, ‘বধাই হো’, ‘আর্টিকেল ১৫’, ‘অন্ধাধুন’, ‘ড্রিম গার্ল’-এর মতো ছবিতে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। যদিও অভিনয় জগতে পা রাখার আগেই তাহিররা সঙ্গে বিয়েটা সেরে ফেলেন। তবে মাঝে টালমাটাল হয় তাঁদের সম্পর্ক। এক সাক্ষাৎকারে আয়ুষ্মান বলেন, ‘‘১৭ বছর বয়সে আচমকাই জনপ্রিয়তা পেলে মানিয়ে নেওয়া মুশকিল। আমার মনে আছে আমি সেই সময় আমার প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিই, কারণ অন্য মেয়েদের থেকে আমি সমস্ত ধরনের মনোযোগ পাচ্ছিলাম। তখন জনপ্রিয়তা কী সেটা বুঝতে শিখছি।’’
আয়ুষ্মান জানান, রিয়্যালিটি শো জিতে রাতারাতি চন্ডীগড়ের মেয়েদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। নিজের মতো করে জীবনটা বাঁচতে চাইছিলেন। তাই তাহিরার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। আয়ুষ্মানের কথায়, ‘‘তাহিরার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার সময় বলেছিলাম, যে আমি নিজের শর্তে জীবনটা বাঁচতে চাই, বলা ভাল উপভোগ করতে চাই। তবে ৬ মাস পর ওরঁ কাছে ফিরে যাই, আমার দ্বারা এইসব হবে না। ’’ তার পর ২০০৮ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সেই তাহিরাকে বিয়ে করেন। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি তাঁরা।