ইচ্ছে করেই মাদককাণ্ডে ফাঁসানো হয়েছিল আরিয়ানকে?
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার পরই আঙুল উঠছে তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকে। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) জানিয়েছিল, আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। দীর্ঘ টালবাহানার পর শুক্রবারই শাহরুখ-তনয়কে বেকসুর খালাস করেছে এনসিবি। তবে শুধু শুধু তারকা-সন্তানের নাম জড়িয়ে হয়রানি কেন? সে নিয়ে সরব হল বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট।গত বছর এনসিবি যে ভাবে আরিয়ান খান-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল, তাতে একাধিক ‘আইনি ফাঁক’ রয়েছে বলেই মনে করছেন সিট সদস্যরা। তাঁদের প্রশ্ন, ইচ্ছা করে মাদক-কাণ্ডে ফাঁসানো হয়নি তো আরিয়ানকে?
সিটের বক্তব্য, তদন্তে প্রথম যে ফাঁক ধরা পড়ছে সেটি হল, বাধ্যতামূলক শারীরিক পরীক্ষা না করানোর সিদ্ধান্ত। প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়ে আরিয়ান এবং তাঁর বন্ধুদের যখন তুলে নিয়ে যাওয়া হল, তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হল না কেন? তাঁরা মাদক সেবন করে থাকলে সেখানেই তো ধরা পড়ত। বিশেষ তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর আরিয়ানের প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর কোনও ভিডিয়ো রেকর্ড করা হয়নি কেন? সিট সে নিয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রহস্যের গন্ধ কি এনসিবির তদন্তেও নেই? আনুষঙ্গিক অনেক অভিযোগের পিছনেও যথেষ্ট প্রমাণের অভাব রয়েছে বলেই মনে করছে সিট।
এ দিকে চার্জশিট পেশ হতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। এনসিবি-র প্রাক্তন আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এ বার কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।গত বছরের ২ অক্টোবরে মুম্বইয়ের উপকূলে প্রমোদতরী কর্ডেলিয়ায় এনসিবি অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সমীরই। সেখান থেকে মাদক-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের। প্রায় এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিনে ছাড়া পান ‘বাদশা’-পুত্র। তার পরেও নিয়মিত এনসিবি দফতরের জিজ্ঞাসাবাদে হাজিরা দিতে হত তাঁকে। তার পরে শুক্রবার পেশ করা চার্জশিটে এনসিবি জানিয়েছে, আরিয়ানকে বেকসুর খালাস করা হল।