আরিয়ান খান মামলায় নতুন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত।
প্রায় দু’বছর পর ফের কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে আরিয়ান খান মাদক মামলা নিয়ে। তবে এ বার যাঁকে ঘিরে যাবতীয় সওয়াল-জবাব, তিনি প্রাক্তন এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে সিবিআই। আরিয়ানকাণ্ডে প্রায় ২৫ কোটি টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে শুধু ঘুষ নেওয়াই নয়, আরিয়ানকাণ্ডে এক নতুন দাবি করলেন সমীরের প্রাক্তন সহকর্মী আইপিএস অফিসার জ্ঞানেশ্বর সিংহ। মাদক মামলার এফআইআর-এ শেষ মুহূর্তে ঢোকানো হয়েছে আরিয়ানের নাম।
সমীরের প্রাক্তন সহকর্মী জ্ঞানেশ্বর সিংহ একটি হলফনামায় জানান, এফআইআর আগে নাম ছিল না শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের। শেষ মুহূর্তে বেশ কয়েকটি নাম বাদ দিয়ে নতুন কিছু নাম যোগ করা হয়। যে তালিকায় ছিলেন আরিয়ান ও তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট।
সিবিআই সূত্রের খবর, সমীর যে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বৃদ্ধি করতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বহু বার বিদেশভ্রমণ, দামি ঘড়ি, বিলাসবহুল জীবনযাত্রার হিসাব মিলেছে। এই জীবনযাপনের সঙ্গে সমীরের আয়ের কোনও সঙ্গতি পায়নি সিবিআই। তার পরেই মামলা দায়ের করে সিবিআই।
সম্প্রতি সমীরের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। সেই সময় প্রাক্তন এই অফিসার দিল্লি হাইকোর্টের কাছে সমন তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। যার পরে হাইকোর্ট তাঁর অন্তর্বর্তিকালীন সুরক্ষা মঞ্জুর করেছিল। তিনি চাইলে মুম্বই হাইকোর্টেও যেতে পারেন বলে জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সিবিআই জানিয়েছে, ২২শে মে পর্যন্ত সমীরের বিরুদ্ধে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে না, যদি সিবিআই-এর থেকে তিনি লিখিত অনুমোদন নেন।
বছর দুয়েক আগে মুম্বই উপকূলে ভাসমান একটি প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিলেন সমীর। ২৯ দিন জেলে থাকার পর আরিয়ানকে জামিনে ছেড়ে দিলেও দুর্দিন ঘনিয়ে আসে খান পরিবারে। ২০২২ সালের মে মাসে সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে এনসিবি আরিয়ানের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়।