জামিন পেলেন না আরিয়ান
বৃহস্পতিবারও জামিন পেলেন না শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। জামিন না পাওয়ায় আপাতত তাঁকে থাকতে হচ্ছে জেল হেফাজতেই। আদালত ঘোষণা করেছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বুধবার, ২০ অক্টোবর। তাই তত দিন তাঁকে জেল হেফাজতেই থাকতে হবে।
শুনানির সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এনসিবি)-র আইনজীবী অনিল সিংহ দাবি করেন, প্রমোদতরীর সেই পার্টিতে আরিয়ান মাদক চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গেও শাহরুখ-পুত্রের যোগাযোগ ছিল বলে মনে করছেন তিনি। সেই বিষয়ে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করার জন্য আরিয়ানকে হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরিয়ানের আইনজীবী অমিত দেশাই বলেছেন, ‘‘আরিয়ানের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। ফোনে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই তাঁকে আটকে রাখার কোনও কারণ নেই।’’
এনসিবি-র যুক্তি, ২৩ বছরের তারকা-সন্তানের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা তদন্ত করে জানা গিয়েছে, তিনি আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তাঁর কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক সংগ্রহ করতেন। সংস্থার দাবি, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। অপর অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্টের কাছ থেকে আরিয়ান নাকি প্রায়শই মাদক কিনতেন।
মাদক-চক্রের ষড়যন্ত্রে আরিয়ানও সামিল ছিলেন। আদালতে এমনই দাবি করেছে এনসিবি। আরিয়ান এবং তাঁর সঙ্গী আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের যুক্তি, আরিয়ানের কাছ থেকে কত পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়েছে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের হদিশ পেতে তাঁদের বয়ান জরুরি হয়ে উঠেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেই পার্টি থেকে বাকি যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁদের মতোই ভূমিকা পালন করেছেন শাহরুখ-তনয়ও। যে কারণেই বুধবারও আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করেন তদন্তকারীদের আইনজীবী। অন্য দিকে শাহরুখ নিযুক্ত আইনজীবী দাবি করেন, শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করা হলেও তদন্তে কোনও প্রভাব পড়বে না। শুনানির সময় উঠে আসে সুশান্ত মামলার প্রসঙ্গও।