আরিয়ান খান।
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান মঙ্গলবারও জামিন পেলেন না। আদালতে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির পর আবার তাঁকে ফিরে যেতে হল হাজতে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আইনজীবী অনিল সিংহ দাবি করেন, প্রমোদতরীর সেই পার্টিতে আরিয়ান মাদক চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গেও শাহরুখ-পুত্রের যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু অনিলের এই দাবি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন শাহরুখ-নিযুক্ত আইনজীবী অমিত দেশাই।
যে প্রমোদতরীতে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র আধিকারিকরা অভিযান চালিয়েছিলেন, সেখানে আরিয়ান উপস্থিত ছিলেন না। মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করলেন অমিত। তাঁর অভিযোগ, আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার যে মামলা করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। অমিত জানান, এনসিবি-র আধিকারিকরা যখন প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন, তখনও আরিয়ান তাতে ওঠেননি। আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজের দাবিকে আরও দৃঢ় করতে তিনি জানান, আরিয়ানের কাছে মাদক কেনার মতো কোনও টাকা ছিল না।
পাল্টা যুক্তি দিয়ে এনসিবি জানায়, বন্ধু আরবাজ শেঠ মার্চেন্টের থেকে নিষিদ্ধ মাদক নেওয়ার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন আরিয়ান নিজেই। অমিত এই দাবি নাকচ করে জানান, জোর করে ২৩ বছর বয়সি আরিয়ানকে দিয়ে এ কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মাদক-চক্রের ষড়যন্ত্রে আরিয়ানও শামিল ছিলেন। আদালতে এমনই দাবি করেছে এনসিবি। তাদের যুক্তি, আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের হদিশ পেতে তাঁর বয়ান জরুরি হয়ে উঠেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেই পার্টি থেকে বাকি যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁদের মতোই ভূমিকা পালন করেছেন শাহরুখ-তনয়ও।