বরুণের কাণ্ডকারখানা। ছবি: সংগৃহীত।
পরিচালক বলছেন, “কাট কাট!” বরুণ কানে কথাই তুলেছেন না। বিছানায় আধশোয়া সহ-অভিনেত্রী নার্গিস ফকরি। তাঁকে চুম্বনে ভরিয়ে দিচ্ছেন বরুণ। ঘটনাটি ‘ম্যায় তেরা হিরো’ ছবির শুটিংয়ের। পরিচালক থামতে বললেও বরুণ সে সবের তোয়াক্কা না-করেই নার্গিসের গালে, গলায়, ঠোঁট ছোঁয়াতে থাকেন। পরিচালকের আসনে ছিলেন বরুণের বাবা ডেভিড ধওয়ান। নিষেধ করলেও বাবার কথা শোনেননি বরুণ। অভিনেত্রীর বেশ কয়েক বছর আগের পুরনো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা। যদিও আগে বেশ কয়েক বার অযাচিত ভাবে সহ-অভিনেত্রীকে ছুঁয়ে দেখার, চুম্বন করার অভিযোগ রয়েছে বরুণের বিরুদ্ধে।
কোথায় থামতে হবে সেই পরিমিতিবোধ নাকি নেই বরুণের। শুধু নার্গিস নন, অতীতে কিয়ারা আডবাণী থেকে আলিয়া ভট্টের সঙ্গেও এমন ব্যবহার করেছেন যে অপ্রস্তুত হয়ে যান তাঁর নায়িকারা। ‘যুগ যুগ জিও’ নামক একটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন কিয়ারা ও বরুণ। সেই ছবির একটি প্রচারমূলক ভিডিয়োয় কিয়ারার সঙ্গে ছবির পোজ় দিতে দিতেই তাঁর গালে চুম্বন করে বসেন বরুণ। ভিডিয়োটি কিয়ারা নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্টও করেন। সেখানেই অভিনেত্রীর চোখেমুখে নাকি অস্বস্তির ছাপ খুঁজে পান নেটাগরিকেরা। সেই সময় অনেকেই দাবি করেন, বরুণ একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন। এই প্রসঙ্গে বরুণ বলেন, ‘‘আসলে পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত ছিল। কিয়ারা এতটাই ভাল অভিনেত্রী... ওর অভিব্যক্তি এমন ছিল যে, কারও মনেই হয়নি এটা পূর্বপরিকল্পিত।’’
তবে বেশ কয়েক বছর আগে আলিয়ার সঙ্গে বরুণ এমন এক ঘটনা ঘটান, যেখানে বরুণ আচমকাই আলিয়ার কোমর জড়িয়ে ধরেন। তখনও নেটাগরিকদের একাংশ দাবি করেন, আলিয়া বরুণের এই কাণ্ডে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। ঘটনাটি ‘হাম্পি শর্মা কি দুলাহনিয়া’ ছবি সংক্রান্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে। এই ঘটনাকে বরুণ অবশ্য ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলেননি। অভিনেতা জানান, এমনটা তিনি আচমকাই করেছিলেন, কারণ আলিয়া তাঁর বন্ধু। তিনি বন্ধুদের সঙ্গে এমন ঠাট্টা করেই থাকেন, তবে কখনও কোনও সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে সে অর্থে অশালীন আচরণ করেননি। তবে নার্গিসের সঙ্গে এমন আচরণ কি ঠাট্টা করে করেছিলেন, নাকি সত্যিই কোথায় থামতে হয় জানেন না বরুণ! উত্তর অবশ্য অজানা।