ফ্রেম বন্দি অর্পণ রায়, অলিভিয়া সরকার, সব্যসাচী সরকার, লিজ়া গোস্বামী। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেম দিবস মানেই লাল-গোলাপির (এ বছর সূর্যমুখীরও) মরসুম। সেই প্রেমের আভা যেন উস্কে দিলেন জুটি, অর্পণ ঘোষাল-অলিভিয়া সরকার। একটি ফ্রেমে অর্পণের কোল ঘেঁষে নিশ্চিন্তে বসে অভিনেত্রী। অভিনেতা যত্নে আগলাচ্ছেন তাঁকে। অলিভিয়ার পরনে লাল টুকটকে পোশাক। অর্পণ বরং ব্যতিক্রম। পুরুষকে গোলাপি রঙের পোশাকে সাজতে চট করে দেখা যায় না।
প্রায় সমানে সমানে পাল্লা দিয়ে আর একটি ফ্রেম জুড়ে সব্যসাচী সরকার-লিজ়া গোস্বামী। অভিনেতা বেছে নিয়েছেন লাল শেরওয়ানি। একই ভাবে শাড়িতে রংমিলন্তি লিজ়া। সহ-অভিনেত্রীর হাত নিজের হাতে নিয়ে যেন ভালবাসার শপথ নিচ্ছেন তিনি।
এত প্রেম ছিল নাকি প্রেম দিবসের আকাশে বাতাসে? বাস্তবে এঁদের প্রেম তো কখনও প্রকাশ্যে আসেনি! সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল দুই অভিনেত্রীর সঙ্গে। কারণ মনস্তত্ত্ব বলে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে নাকি আবেগে বেশি ভাসেন নারী!
গোয়েন্দা প্রেমিক কিন্তু খুবই ইন্টারেস্টিং...
কথার শুরুতেই অলিভিয়ার আত্মসমর্পণ, “যা দেখছেন সব পর্দায়। সবটাই ‘রাপ্পা রায় ও ফুলস্টপ ডট কম’ ছবির সৌজন্যে। আমি ‘রাপ্পা’ ওরফে অর্পণের প্রিয় বান্ধবী, ‘ডলফিন’।” প্রেমিক গোয়েন্দা সারা ক্ষণ অপরাধ আর অপরাধীদের নিয়ে ব্যস্ত। গোয়েন্দার প্রেমিকা কি তাকে সহযোগিতা করে? না কি প্রেমিকের মধ্যে কতটা প্রেম আছে খোঁজে? প্রশ্ন শুনে দমকা হাসি। হাসি সামলে অভিনেত্রী জবাব দিলেন, “ভাল প্রশ্ন। গোয়েন্দা কতটা ভাল প্রেমিক— এই তো? গোয়েন্দা প্রেমিক কিন্তু খুবই ইন্টারেস্টিং। কেন বললাম সেটা ছবি বলবে।” বাঙালির আদর্শ ফেলুদা এখনও ‘আদর্শ চিরকুমার’! রাপ্পা গোয়েন্দাগিরিও করছে, প্রেমও। এই প্রজন্ম কি তা হলে তার দিকেই ঝুঁকবে? অলিভিয়ার মতে, “মনে হয়, এই প্রজন্মের মনে রাপ্পা আর ডলফিন ভালই প্রভাব ফেলবে।”
পুরুষ সঠিক হলে বিয়ের পরেও প্রেম থাকে...
এই অভিজ্ঞতা লিজ়া ওরফে পর্দার ‘সিলি’র বৌয়ের। বিয়ের পরে প্রেম থাকে? এই প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তরই দিলেন তিনি। সব্যসাচী ছবিতে রাপ্পার সহকারী। গোয়েন্দার সহকারী মানেই সারা ক্ষণ তদন্তে জড়িয়ে থাকা। প্রেম করার সময় পায় ‘সিলি’? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গোয়েন্দার সহকারী ঘোরতর সংসারী। এক মেয়ের বাবা! বাস্তবে সব্যসাচীর সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন? অভিনেত্রীর দাবি, একদম মাটির মানুষ। ভীষণই ভদ্র। প্রয়োজনে শট বুঝিয়ে দেন। ‘প্রেমিক’ সব্যসাচীকে সারা বাংলা চেনে। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কোনও বিশেষ অনুভূতি? সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জবাব, “পর্দার প্রেম পর্দাতেই শুরু পর্দাতেই শেষ। এটা আমরা সব অভিনেতারাই জানি।”