জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে আইপিএস অফিসার ‘বসুন্ধরা বসু’ হয়ে আসছেন অর্কজা আচার্য।
ঘরের বৌ থেকে এ বার সোজা থানায়! শাড়ি ছেড়ে এ বার পুলিশ অফিসারের উর্দিতে অর্কজা আচার্য!
মাত্র দু’মাস আগে শেষ হয়েছে ধারাবাহিক ‘ওগো নিরুপমা’। গা থেকে ‘নিরুপমা’র গন্ধ ভাল করে মোছেনি। তার আগেই ৩৬০ ডিগ্রি বদলে গেলেন অর্কজা আচার্য। টেলিপাড়ার খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর তিনি ছিলেন ‘দুঁদে আইপিএস অফিসার’। কী কারণে? জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকে আইপিএস অফিসার ‘বসুন্ধরা বসু’ হয়ে আসছেন তিনি। তারই প্রথম দিনের কাজ হল বৃহস্পতিবার। আরও খবর, রুদ্রকে তদন্তে সাহায্য করতেই বদলি হয়ে আসছেন বসুন্ধরা। প্রেমও করবেন ‘মিঠাই’-খ্যাত ‘রুডি’ ওরফে ফাহিম মির্জার সঙ্গে।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, রুদ্রকে ভারী পছন্দ তার বন্ধু সিদ্ধার্থের বোন শ্রীনিপার। তার কী হবে? অর্কজার কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেত্রী এক্ষুণি কোনও রহস্য ফাঁস করতে রাজি নন। তবে জানা গিয়েছে, পর্দায় ‘শ্রীনিপা’ ওরফে ঐন্দ্রিলা সাহার নাকি সত্যিই করুণ দশা। সে সব বুঝেও না কিছু বলতে পারছে রুদ্রকে, না জানাতে পারছে বাড়িতে। কারণ, বসুন্ধরা-রুদ্র পূর্ব পরিচিত।
অর্কজার প্রথম অভিনীত চরিত্র ছিল একেবারে অন্য ধরনের। স্টার জলসার ‘ওগো নিরুপমা’ ধারাবাহিকে তিনি একাধারে ‘কুৎসিত’ নিরুপমা, ‘সুন্দরী’ সংযুক্তা। সেখান থেকে ‘বাংলা সেরা’ ধারাবাহিকে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি। পুলিশি পোশাকে শট দিতে কেমন লাগছে? অর্কজার কথায়, টাইট খোঁপা, পুলিশের উর্দি, টুপি, হাতে লাঠি নিয়ে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে প্রথমে বেজায় ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। দু’মাসের অনভ্যাস ‘অভিযুক্ত’ তাঁর চোখে। আস্তে আস্তে অবশ্য ধাতস্থ হয়েছেন। মনে পড়েছে ‘মর্দানি’ ছবির রানি মুখোপাধ্যায়কে। অভিনয়ের খাতিরে সেই ছবিটি নাকি আরও এক বার দেখতে চলেছেন অর্কজা।