দেব অধিকারীর সমাজসেবার কথা অনেকেরই জানা। ‘দেবদার ভক্ত’ও যে একই পথের পথিক, জানতেন?
পেশায় চিত্রগ্রাহক অর্ণব গুহ। এসভিএফ, দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সের সঙ্গে যুক্ত। নিজের স্টুডিয়ো-ও আছে তাঁর। আর নেশা? অবসরে তাঁর ‘দেবদা’র মতোই পাশে দাঁড়ান মানুষের। পাশাপাশি, তাঁর ‘ঈশ্বরতুল্য’ সাংসদ-তারকার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টাও করেন পুরোদমে। কেন? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই অর্ণবের সোজাসাপ্টা জবাব— ‘‘টলিউডে আমাকে যে ক’জন চেনেন তার পুরো কৃতিত্ব দেব অধিকারীর। মানুষ হিসেবে অতুলনীয়। কিন্তু কিছু ব্যক্তি সারাক্ষণ তাঁর সমালোচনা করছেন। মিথ্যে অপবাদ ছড়াচ্ছেন।’’ ‘দেবভক্ত’ হিসেবে এ সব মানতে নারাজ তিনি।
সেই জায়গা থেকেই অর্ণবের এই ভাবনা। এবং যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। রুবির কাছে তাঁর দোকান ‘দেব অ্যান্ড টি’। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছেন বুধবার রাতে। তা বলছে— দেবের হরেক পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে দোকানের অন্দর। সঙ্গে নানা স্বাদের চা। চা তো হল, ‘টা’ কী থাকছে সঙ্গে? অর্ণব জানিয়েছেন, আপাতত দেবের ছবির গান, সংলাপই ‘টা’-এর ভূমিকায়।
দেবের নামে চায়ের দোকান খুলেই কিন্তু থামছেন না চিত্রগ্রাহক। আগামীতে এই দোকানকেই ‘দেব হাব’-এ পরিণত করার ইচ্ছে অর্ণবের। তাতে নতুন ছবির প্রচার হবে। থাকবে অভিনেতার পুরনো ছবির খুঁটিনাটি তথ্য, অভিনীত ছবির স্থিরচিত্র, কণ্ঠস্বর এবং আরও অনেক কিছু। সেই ভাবনাতেই এগোতে চান অর্ণব।
এর আগেও অবশ্য প্রিয় তারকার নামে দোকান খুলেছেন অনুরাগীরা। তার মধ্যে যাদবপুর ৮বি বা পাটুলির র ‘চা ও নচিকেতা’ ইতিমধ্যেই চা-খোরদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। অর্ণবের বিশ্বাস, ‘‘দেবদার আশীর্বাদ থাকলে এই দোকানের জনপ্রিয়তা সবাইকে ছাপিয়ে যাবে। কারণ, বাংলা ও বাঙালি দেব আর চা— এই দুইয়েরই দারুণ ভক্ত!’’
‘দেব অ্যান্ড টি’ খোলার পরেই সেখানে এসে চা খেয়ে গিয়েছেন দেবের প্রযোজনা সংস্থার সমস্ত কর্মী। চা কি চিত্রগ্রাহক নিজেই বানাচ্ছেন? লাজুক গলায় স্বীকারোক্তি— দোকানের দায়িত্বে তাঁর দুই ছায়া সঙ্গী। ‘‘আমার দুই বন্ধু অর্থনৈতিক ভাবে খুবই কমজোরি। অতিমারিতে অবস্থা আরও সঙ্গীন। নিজেদের ব্যবসা করার সামর্থ্য হারিয়েছেন। তাই ওঁদের হাতে দোকান তুলে দিয়েছি।’’
আর ‘ভক্তের ভগবান’ কী বলছেন? অর্ণব জানিয়েছেন, তাঁর দোকান সম্পর্কে জানেন দেব। খুব শীঘ্রই তারকা নিজেও এসে দেখে যাবেন।