কলকাতায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে অরিজিৎ গাইলেন ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না’, গায়কের কণ্ঠে ঝড়ে পড়ল আক্ষেপ। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতায় প্রায় তিন বছর পর অরিজিৎ সিংহের কনসার্ট। টিকিট মূল্য ছিল চড়া। তবে তাতে কী! শিল্পীর গান শুনতে অ্যাকোয়াটিকায় শহরবাসীর ভিড়। একের পর এক গান গাইছেন অরিজিৎ। মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান থেকে রূপম ইসলামের গান— গায়কের কণ্ঠ মাধুর্যে বুঁদ দর্শক। শনিবারের কনসার্ট যেন আর পাঁচটা অরিজিতের শো-এর থেকে একেবারে আলাদা। শুধু কলকাতায় গাইছেন বলে নয়, অরিজিৎ সরব হন ‘গেরুয়া’ বিতর্কে। শুধু তাই নয় সম্প্রতি ‘মানবজমিন’ ছবিতে প্রথমবার রামপ্রসাদী গান গেয়েছেন অরিজিৎ, ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না, আবাদ করলে ফলত সোনা’। সেই সময় গায়কের এই গান শোনার পর রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় খানিক বিরক্তই হন। অরিজিতের এই প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এ বার কলকাতায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে অরিজিৎ গাইলেন ‘মন রে কৃষিকাজ জানো না’। অরিজিৎ গাইতে গাইতে বললেন, ‘‘এই গানের কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে যেন নিজেকে গালি দিচ্ছি, বা মনে হয় যেন রামপ্রসাদ বাবুই গালি দিচ্ছেন।’’
এমনিতেই অরিজিৎ আর পাঁচ জনের তুলনায় ভিন্ন জীবন দর্শনে বিশ্বাসী। খ্যাতির চূড়ায় থেকেও সাদামাটা জীবন যাপন তাঁর। এই গানটি গাওয়ার জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন মাত্র ১১ টাকা। হ্যাঁ, অরিজিৎ এমনই। এ বার মঞ্চে হাজার লোকের মাঝেই বলে উঠলেন, ‘‘সত্যিই তো কিছু জানলাম না।’’
ছবির মুক্তির সময় শ্রীজাত জানিয়েছিলেন যে এই গানটি গাইতে বেশ কিছুটা সময় নেন অরিজিৎ। তবে শনিবার প্রায় গোটা কলকাতার সামনে নিজের আক্ষেপের কথা বললেন গায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘এই গানটা গাইতে আমি অনেকটা সময় নিই। কিছুতেই গানটা গাইতে পারছিলাম না। এই গানের কথাগুলো শুনে মনে হচ্ছে যেন নিজেকে গালি দিচ্ছি, বা মনে হয় যেন রামপ্রসাদ বাবুই গালি দিচ্ছেন। আসলে কিছুই তো শিখলাম না। কী ভাবে ফসল কাটতে হয়? এই দেহের জীবনের কাজ কিছুই জানলাম না।’’ গায়কের এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন ‘মানবজমিন’ ছবির প্রযোজক রানা সরকার।